খবরের বিস্তারিত...


নামাজের নিয়ম

আগস্ট 19, 2018 আক্বীদা

নামাজের নিয়ম ( মকতুবাত শরীফ থেকে সংকলিত )

*******

******

১) পুর্ন ভাবে পবিত্র হোন ও উত্তমরুপে অজু করার পরে, নামাজ – যা মুমিনগনের মেরাজ, তা পাঠ করার নিয়ত বা সংকল্প করবেন।
২) ফরজ নামাজ সমুহ যেন জামাত ব্যাতীত পাঠ না হয়, সেই দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখবেন।বরং ইমামের সাথে প্রথন তকবীর যেন পরিত্যাগ না হয়।
৩) মোস্তাহাব ওয়াক্তের মধ্যে নামাজ আদায় করা উচিত এবং সুন্নত পরিমান কেরাত বা কোরআন পাঠ করা আবশ্যক।
৪) রুকু সেজদা শান্তি সহকারে পালন করবেন।যেহেতু অধিকাংশের মতে রুকু সিজদা করা ফরজ কিংবা ওয়াজিব।
৫) কিয়াম বা দণ্ডায়মান হওয়ার সময় সরলভাবে দন্ডায়মান হবেন ( সোজা হয়ে দাড়াবেন), যেন অস্থি সমুহ স্ব স্ব স্থানে উপনীত হয়।
৬) দণ্ডায়মান হওয়ার পরে কিছুক্ষন শান্ত হওয়া আবশ্যক। তাহাও প্রতিপালন করবেন।যেহেতু উহা ফরজ, অথবা ওয়াজেব কিংবা সুন্নাত।ইহাতে কিঞ্চিৎ মতভেদ আছে।
৭) এইরুপ সিজদাদ্বয়ের মধ্যে উপবেশনকালেও ‘কিয়ামের’ ন্যায় কিছুক্ষন শান্ত হওয়া আবশ্যক।
৮) রুকু এবং সিজদার মধ্যে তছবিহ পাঠ করার সর্বনিম্ন সংখ্যা তিনবার এবং উর্ধ সংখ্যা সাত বার অথবা এগারো বার ; ইহাতেও মতভেদ আছে। মুকতাদী গণের অবস্থা অবগত হয়ে ইমাম তছবীহহ পাঠ করবেন।যখন কেউ একাকী নামাজ পড়ে এবং শক্তি সামর্থ্য থাকে, তখন যদি সর্ব নিম্ন তছবিহ পাঠ করে তবে তা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। যদি একান্ত অক্ষম হয় তবে অন্ততঃ পাঁচ কিংবা সাতবার তছবিহ পাঠ করা উচিৎ।
৯) সিজদা করার সময় যে অংগ মাটির নিকটবর্তী তা প্রথমে মাটিতে রাখবেন।অতএব প্রথমে জানু সন্ধিদ্বয় ( হাটু) মাটিতে রাখবেন। তারপর হস্তদ্বয় ( দুই হাত), তারপর নাসিকা ( নাক), তারপর ললাট ( কপাল)। হাটু এবং হাত রাখার সময় ডান অংগটি আগে রাখবেন।
মস্তক উত্তোলন কালে যে অংগ আকাশের নিকটবর্তী তাহাই প্রথমে উত্তোলন করবেন।অতএব প্রথমে ললাট (কপাল) উত্তোলন করবেন।
১০) দণ্ডায়মান কালে সিজদার স্থানে নিজের লক্ষ্য সিবিত ( সেলাই) করে রাখবেন। অর্থাৎ, দাঁড়িয়ে থাকার সময় দৃষ্টি থাকবে সিজদার দিকে।
১১) রুকু করার সময় স্বীয় পদদ্বয়ের ( দুই পায়ের দিকে) দিকে দৃষ্টি রাখবেন।এবং সিজদার সময় নাকের অগ্রভাগে লক্ষ্য করবেন।
১২) উপবেশন কালে ( শেষ বৈঠক) নিজের হাতের দিকে অথবা কোলের দিকে তাকাবেন।
যখন লক্ষ্য – ভ্রষ্টতা হইতে রক্ষিত হইবে এবং উল্লেখিত স্থান সমুহের প্রতি লক্ষ্য আবদ্ধ থাকবে, তখন মনোনিবেশের সহিত নামাজ পাঠ হইবে এবং অন্তঃকরনের নম্রতাও হাসিল হইবে। হযরত নবীয়ে করিম (স:) হইতে এইরুপ বর্ণীত আছে।
১৩) রুকু করার সময় হাতের আঙুল সমুহ পৃথক ভাবে স্থাপন এবং সিজদার সময় উহা সম্মিলিত করন সুন্নাত। ইহার প্রতিও দৃষ্টি রাখবেন।
তথ্যসুত্রঃ
লেখক: হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহঃ)
মকতুবাত শরীফ, ১ম খন্ড ৩য় ভাগ, ৭১-৭২ পৃষ্ঠা
অনুবাদ: মাওলানা মুতী আহমদ আফতাবী (রহঃ)

Comments

comments