খবরের বিস্তারিত...


পীর প্রফেসর আব্দুল খালেক ছতুরাভী (র) জীবন ও কর্ম

উপমহাদেশে ইসলামের শাশ্বত বাণী প্রচারিত হয়েছিল যে সকল শুদ্ধচিত্ত মহান আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে, সমাজের বিরাজমান কুসংস্কার বিদূরীত হয়েছিল যাদের কিতাবাদী প্রনয়ন, সমাজের ইসলাহ ও তালিমাতে দ্বীনের বহুমাত্রিক কর্মসূচীর মাধ্যমে, আখেরী নবী, সায়িদ্যিল মুরসালীন হযরত আহমাদ মুজতবা মুহাম্মদ মোস্তাফা হাবীবুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম) এর ইশ্ক মুহাব্বাতের অনল প্রজ্জোলিত হয়েছিল বাংলার মুসলমানদের হৃদয়ে যে সকল আলীমে দ্বীন নায়েবে রাসূলদের মাধ্যমে, উপমহাদেশের মানুষদেরকে সুন্নাতের রংয়ে রাঙ্গাতে বিদআতের অন্ধকার থেকে পরিপূর্ণ আলোর দিশারী হয়ে বৈজ্ঞানিক ও যুগাপযুগী ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা দিয়ে যারা অসংখ্য নাস্তকি আধুনিক ও ইংরেজী শিক্ষিত দ্বীন ও ধর্মের উদাসীন মানুষগুলোকে হিদায়াতের পথে উদ্ভাসিত করেছিলেন কুতুবুল ইরশাদ পীর প্রফেসর আবদুল খালেক (রা) ছিলেন সেই কাফেলার প্রাত স্বরণীয় মহান দিকপাল।
কবি ফররুখ আহমদ তাই এই মহান সত্তার প্রতি অকুন্ঠ শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেছেন –
“যে আলোক শামাদানে জ্ব’ লেছিল অম্লান বিভায়
অফুরান প্রাণৈশ্বর্যে সমুজ্জল করি অন্ধকার
তারি আলোকণা বহি দীপ জ্বলে দীপাগ্নিতে; আর
প্রাণ পায় প্রাণের পাথেয়। নিশান্তরে প্রত্যাশায়
জাগে সে অপূর্ব দ্যুতি প্রভাতের বর্ণ সুষমায়
নিরন্ধ্র রাত্রির বক্ষে, নি¯প্রাণ মৃত্যুর কালঘুমে
(বিদ্যুৎ চমকে যেন-অথবা দুরন্ত সাইমুমে)
সিরাজাম মুনীরার জ্যোর্তিলেখা মুক্ত ঝরোকায়
তৌহিদী মশাল বহি চলে গেছে যারা যাত্রীদল
পাথর চাপানো ভার, আঘাতের ভারী বোঝা টেনে,
অবিশ্বাসী শর্বরীর শিলা-বক্ষে সূর্য তীর হেনে
অগণ্য মৃত্যুর মাঝে নিস্কষ্প, নির্ভীক-অচঞ্চল;
তাদের কাফেলা মাঝে নিঃসংশয় অভিযাত্রী জেনে
মানুষের মুক্ত স্বপ্ন রেখে যাই অশ্রু সমুজ্জল ’’

বিখ্যাত ফুরফুরা সিলসিলার ইমাম মুজাদ্দিদে যামান পীর আবদল্লাহ আবু বকর সিদ্দিক (র) এর অন্যতম প্রধান খলিফা প্রফেসর আব্দুল খালেক (র) ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন ছতুরা গ্রামে জম্মগ্রহন করেন। দিনটি ছিল বুধবার ১৩ ই ভাদ্র ১২৯৮ বাংলা, ১৮৯২ ইং সালের ২৪ আগষ্ট, ২৯ মহররম ১৩১০হি। তিনি নিজ বাড়ীতে অতি স্বল্প সময়েই কুরআনুল কারীম পাঠ সমাপ্ত করেন। অতঃপর তিনি কুমিল্লা হুচ্ছামিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হন। উক্ত মাদ্রাসা হতেই তিনি তৎকালীন জামায়াতে উলা, বর্তমান ফাজিল পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাশ করার পর ঈশ্বর পাঠশালায় ৭ম শ্রেণীতে ভর্তি হন। এবং ১৯১৮ সালে এন্ট্রান্স (এস,এস,সি) পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় ফলাফলসহ পাশ করেন একই ফলাফল করেন এফ,এ (এইচ,এস,সি) পরীক্ষায় ১৯২০ সালে ভিক্টোরিয়া কলেজ হতে। সেই ধারা বজায় রেখে তিনি উক্ত ভিক্টোরিয়া কলেজ হতেই ১৯২২ সালে বি.এ পাশ করেন। তারপর তিনি এম,এ, অধ্যয়নের জন্য আগমন করেন ঢাকায়। ১৯২৫ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সিলেবাস অনুযায়ী ফার্সী ভাষার উপর এম.এ তে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ হতে মেধার স্বীকৃতি সরুপ পাঁচ ভরি ওজনের স্বর্ণ পদকও লাভ করেন। ঠিক একইভাবে পরের বছরও তিনি আরবী ভাষায় এম.এ তে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন আর পূর্বের ন্যায়ই সম্মান লাভ করেন।
প্রথম বারের ফলাফলের পর পরই তিনি ফেনী কলেজের অধ্যাপকের দায়িত্ব গ্রহন করেন। সাথে সাথে ইসলামিয়া হোষ্টেল সুপারের দায়িত্ব পালন করেন। ফেনী কলেজে সুনামের সাথে দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় ডাক আসে কলিকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজে যোগদানের জন্য। তৎকালীন সময়ে কলিকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজটি ছিল অখন্ড ভারতের একটি অনন্য সাধারণ খ্যাতিমান কলেজ। তাই পরিচিত মহল থেকে চাপ আসে উক্ত কলেজে যোগদান করার বিষয়ে। সকলের আগ্রহকে সম্মান দেখিয়ে, ফুরফুরা শরীফের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা কল্পে ১৯২৭/২৮ সালে তিনি উক্ত কলেজে অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন। উক্ত কলেজে দীর্ঘ দিন অধ্যাপনা করার পর তিনি চলে যান লেডী ব্রাবোন কলেজে। এখানে তিনি সহ অধ্যাক্ষের পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ঢাকায় সরকারী ইডেন কলেজে ভাইস প্রিন্সিপাল ছিলেন।

দেশ বিভাগের পর তিনি পাকিস্তানে সরকারীভাবে গঠিত ‘তা’লীমাতে ইসলামিয়া বোর্ডে’ সম্মানিত সদস্য হিসাবে নিযুক্ত হন। ১৯৫২ সাল পর্যন্ত তিনি উক্ত পদে বহাল ছিলেন। ১৯৫৪ সালে তিনি তৎকালীন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

ফেনী কলেজে অধ্যাপনার সময় শাহ্ সূফী সদরুদ্দীন আহমদ (র) এর নিকট প্রথম বায়াত ও খিলাফত প্রাপ্ত হন। শাহ্ সূফী সদরুদ্দীন আহমদ (র) ছিলেন ফুরফুরার আবু বকর সিদ্দিক (র) এর অন্যতম প্রধান খলিফা। তিনি প্রফেসর আবদুল খালেক (র) কে একদিন বললেন “আমার যা দেওয়ার ছিল তোমাকে তা দেওয়া হয়েছে কিন্তু তোমার পাত্র এখনো খালি আছে তুমি আমার মুর্শিদের কাছে বায়াত গ্রহন কর”

পরবর্তীতে প্রফেসর আবদুল খালেক (র) ফুরফুরায় তাঁর মুর্শিদের এযাযত ও নির্দেশে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (র) এর কাছে বায়াত গ্রহন করেন এবং খিলাফাত প্রাপ্ত হন। কিন্তু বিনয়ের প্রতীক প্রফেসর সাহেব তার শাজরানামায় লিখতেন “শেষাক্ত দুইজন হইতে খেলাফত প্রাপ্ত” দুইজনকেই তিনি তার জীবনের আলোর দিশারী মনে করতেন। তিনি বলতেন “ মুজাদ্দেদে জামান হজরত মাওলানা মুরশেদানা শাহ সুফী হাজী মুহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিকী রহমাতুল্লাহ ও তাঁহার যোগ্যতম খলিফা হজরত শাহ সুফী মুরশেদানা হাজী সদরুদ্দীন আহমদ রহমাতুল্লাহ কাদেরী, চিশতী, নকশবন্দী, মুজাদ্দেদীর কাফশবরদারী করিয়া আমার জীবনে যাহা কিছু আছে তাহা সমস্তই প্রাপ্ত হইয়াছে। যাহাদের ওছিলায় ও তাওয়াজ্জুর প্রভাবে আমি এই অন্ধকার দুনিয়াতে আলোকের সন্ধান পাইয়াছি”

তিনি তাঁর মুরশিদ কিবলার কিরূপ প্রিয়ভাজন হয়েছিলেন তা একটি ঘটনা দ্বারা প্রতীয়মান হয় ঘটনাটি বর্ণনা করেন ‘ন’ হুজুর মাওলানা শাহ্ সুফী নাজমুস সায়াদাত সিদ্দিকী (র) এর বড় সাহেবজাদা, তিনি বলেন “ আমি তখন তালেবুল এলেম। আমার দাদুজী কেবলার দহলিজে তা’লীমের জলসায় বসে আছি। উক্ত জলসায় ঐ দিন বাংলার বিখ্যাত বিখ্যাত বরেন্দ্র ব্যক্তিবর্গ উপবিষ্ট ছিলেন। যেমন সর্বজনাব ইসকান্দার আলী মীর্জা, শেরে বাংলা এ,কে ফজলুল হক, ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ আরো অনেকে। এমন সময় এক পর্যায়ে বাড়ীর ভিতর থেকে জনৈক ব্যক্তি এক গ্লাস কুসুম কুসুম গরম দুধ এনে আমার দাদুজীর হাতে দিলেন। তিনি আংশিক দুধ পান করেন। তারপর এত লোকের মধ্য হতে বলেন, “বাবা! প্রফেসর সাহেব আপনি একটু এ দিকে আসুন।” দাদুজী কেবলা অবশিষ্ট দুধের গ্লাস প্রফেসর আবদুল খালেক রহমাতুল্লাহ আলাইহের হাতে দিয়া বললেন, “এটুকু পান করে ফেলুন”। এত লোকের মধ্য হতে তিনি নিজ স্থান থেকে উঠে এসে পীরের হাত থেকে এত বড় নেয়ামতের তোহফা পাবেন, তাহা তিনি কোনদিন প্রত্যাশাও করতে পারেন নাই। তাই হঠাৎ করে তিনি যেন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেন। এক পর্যায়ে মনে করলেন যে, উক্ত দুধ তিনি নিজ স্থানে গিয়ে বসে পান করবেন। তাই দাদুজী কেবলার উপবেশনের স্থান থেকে বিনয়ের সাথে নিজের বসার স্থানে গিয়ে বসলেন। এমন সময় পার্শ্ববর্তী ভক্তবৃন্দগণ দুধের আংশিক পান করার জন্য হাতাহাতি শুরু করলেন এবং এক পর্যায়ে হাত থেকে গ্লাস পড়ে পড়ে গিয়ে মেঝেতে ভেসে গেল। আমি প্রত্যক্ষ করলাম প্রফেসর সাহেব নিজ হাতে চাটিয়া সবটুকু দুধ তুলে পান করলেন। আর তারপর থেকেই তার বেলায়েতের সৌরভ দেশ-দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো।”
ফুরফুরা শরীফের শ্রদ্ধেয় ন’হুজুর কেবলা হযরত শাহ সুফী নাজমুস সায়াদাত সিদ্দিকী রাহমাতুল্লাহ আলাইহে সাহেব প্রফেসর সাহেব সম্পর্কে একদা বলেছিলেন, “ প্রফেসর সাহেবকে আমার ওয়ালেদ কেবলা বিশেষ ভাবে তা’লীম দেন কেন না উদ্দেশ্য ছিল যে ইংরেজী শিক্ষিত মহলে তাঁহার দ্বারা তাবলীগের কাজ হবে। এই সিলসিলার মধ্যে প্রফেসর সাহেব একটা বিশেষ স্থান দখল করে আছেন”। প্রকৃত অর্থে প্রফেসর সাহেব তার জীবনে ইংরেজী তথা শিক্ষিত মহলে দ্বীনী তাবলীগের কার্য যথেষ্ট পরিমানে সু-সম্পন্ন করে নিজ দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

ফুরফুরা সিলসিলা মূলত মুজাদ্দিদে আলফে সানী (র) এর আদর্শ দর্শন ও তার মুবারকময় সিলসিলার অন্যতম যোগ্য প্রতিনিধিত্বকারী, মুজাদ্দিদে আলফে সানী (র) এর সাথে এই সিলসিলার আত্মিক বা রুহানী সম্পর্ক খুবই গভীর।

হযরত ফুরফুরার পীর সাহেব তাঁর বিশিষ্ট খলিফাদের নিয়ে (প্রফেসর আবদুল খালেক (র), ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ) সেরহিন্দ শরীফ সফর করেন। সফরের বর্ণনায় ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন আমরা হুযুর কেবলার সহিত দল্লিী পৌছিয়া হযরত মুজাদ্দিদ আলফে সানী (র) সাহেবের পীর হযরত বাকীবিল্লাহ (র) হযরত কুতুবদ্দীন বখতিয়ার কাকী (র), হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া (র) সাহেবানের এবং অন্যান্য বোর্যগানের মাযার যিয়ারত করি। চারিদিন পরে আমরা হুযুর কেবলার সহিত আজমীর শরীফে যাত্রা করি। সেখানে দুই দিন থাকিয়া হুযুর কেবলা খাজা সাহেবের দরগাহে যে সমস্ত শির্ক ও বিদআত কাজ হয়, তাহার বরিুদ্বে ওয়ায করেন এবং দান খয়রাত করেন। আজমীর শরীফ হইতে আমরা হুযুর কেবলার সহিত সেরহিন্দ শরীফে রওয়ানা হই। সেখানে ১০/১২ দিন তিনি ওয়ায নসীহত করিয়া কাটান এবং দান খয়রাত করেন। বিদায় দিনে সেখানকার মুতাওল্লী সাহেব তাহাকে কিছু উপহার দিয়া বলেন, আমি হযরত মুজাদ্দিদ সাহেবের তরফ হইতে এই সমুদয় তোহফা হুযুরকে দিতে আদিষ্ট হইয়াছি। আরও ইহা জানিতে পারিয়াছি যে আপনি এই যমানার মুজাদ্দিদ। এই বলিয়া তিনি উল্লাসরে সহিত হুযুরের মাথায় মুজাদ্দিদী টুপী পরাইয়া দিলেন”।

সেরহিন্দের সেই সফর সম্পর্কে কুতুবুল ইরশাদ (র) বলেন “আমি মুজাদ্দিদে আলফে সানী (র) মাযার শরীফ যিয়ারত করি এবং মুজাদ্দিদে আলফে সানী (র) সাথে দীর্ঘ দুই ঘন্টা রুহানী কথোপকথন করি যা দুনিয়ার সময়ের হিসেবে প্রায় আড়াই বছর”
ফুরফুরার পীর সাহেব (র) এর উর্ধস্থন পুরুষ হযরত মনসুর বাগদাদী ছিলেন ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর সিদ্দিক (র) এর ১৬ তম অধস্থন। মনসুর বাগদাদী (র) এর অধস্থন পুরুষ হাজী মুস্তফা মাদানী (র) মুজাদ্দিদে আলফে সানী (র) এর তৃতীয় পুত্র হযরত খাজা মুহাম্মাদ মাসুম (র.) এর হাতে দল্লিীর মসজিদে একত্রে বায়াত গ্রহন করেন। অন্যদিকে তরিকতের শাজরায় মুজাদ্দিদে আলফে সানী (র) এর অন্যতম প্রধান খলিফা আওলাদে রাসূল হযরত আদম বিন নূরী (র) হযরত আবদুল্লাহ শাহ আবদুল রহীম মুহাদ্দিসে দেহলবী, পরবর্তী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত শাহওয়ালী মুহাদ্দিসে দেহলবী (র.), শাহ আবদুল আযীয মুহাদ্দিসে দেহলবী (র), সৈয়দ আহমাদ শহীদ বেরলবী (র), নূর মুহাম্মাদ নিজামপুরী (র) শাহ সূফী রাসূল নোমা ফতেহ আলী উয়েসী (র) হতে ফুরফুরা সিলসিলার পীর সাহেব পর্যন্ত পৌছে এবং ফুরফুরা পীর সাহেব (র) ও তার অন্যতম প্রধান খলিফা শাহ সূফী সদরুদ্দীন (র) দুইজন থেকেই খেলাফত প্রাপ্ত হন পীর প্রফেসর আব্দুল খালেক (র)।

ফুরফুরার পীর সাহেব কিবলার নির্দেশে আলীমে দ্বীন প্রফেসর সাহেব (র) কিতাবাদী প্রণয়নে সচেষ্ট হন। তরিকতের বিভিন্নতালিম,শরীয়তের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক “ সেরাজুস সালেকীন” আল্লাহর হাবীব (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম) এর তিন খন্ড-তে অত্যান্ত জ্ঞানগর্ভ সঠিক ব্যাখ্যা সংবলিত পরিপূর্ণ জীবনী গ্রন্থ “সায়্যিদুল মুরসালীন”, বোখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফতহুল বারী রচয়িতা হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানীর (র) মুনাব্বেহতের বাংলা অনুবাদ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া তার রাচিত গুনচা-ই-ফারসী প্রথম খন্ড, দুররাতুল আদাব ২য় খন্ড, সহজ আরবী ব্যাকরণ মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যসূচীর অর্ন্তভূক্ত ছিলো।“সায়িদ্যুল মুরসালীন” প্রথমে দুই খন্ডে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটি সম্পর্কে বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (১৯৫৬) গ্রন্থে অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান ও মোহাম্মাদ আবদুল হাই মন্তব্য করেন “মাওলানা আবদুল খালেক এম,এ রচিত ‘সায়্যিদুল মুরসালীন’ অধুনা প্রকাশিত জীবনী গ্রন্থের মধ্যে উল্লখেযোগ্য। এ বিরাট গ্রন্থটি রচনায় লেখকের শ্রমশীলতা ও হযরতের প্রতি অকৃত্রিম হৃদয়ানুরাগ লক্ষ্য করার মতো” তৃতীয় খন্ডটি কিছু বছর আগে প্রকাশিত হয় এবং পূর্বের ন্যায় পাঠক মহলের কাছে সমাদৃত হয়।

তাছাড়া তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশে খলিফাবৃন্দের মাঝেও কিতাবাদী প্রনয়নের কর্মসূচী সচল থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় পীর প্রফেসর কুতুবুল ইরশাদ (র) এর প্রধান খলিফা শাহ সূফী ইমামুত্ব তরিক্বত শায়খ মুহাম্মদ বোরহানুদ্দীন উয়েসী (র) রচিত আল্লাহর হাবীব(সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম)) এর শেষ নবী হওয়ার সমস্থ দলীল ও প্রমান সংবলিত “আখেরী নবী” অপর দুইজন খলিফা অধ্যাপক এ,এফ,এম আবদুল আযীয ও সিদ্দিক আহমদ খান (র) দ্বয়ের মুজাদ্দিদে আলফে সানী (র) উপর গবেষনা মূলক গ্রন্থ হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী (র) এর জীবন ও কর্ম ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ১৯৬০ সালে ২ খন্ডে প্রকাশিত হয়। বাংলা ভাষায় মুজাদ্দিদে আলফে সানী (র) এর আদর্শ, দর্শন, কর্মপদ্ধতি প্রচার ও প্রসার এবং মুজাদ্দিদে আলফে সানী (র) এর উপর আরো চর্চার ও গবেষনার জন্য গ্রন্থটি উল্লখেযোগ্য ভুমিকা পালন করছে।

কুতুবুল ইরশাদ পীর প্রফেসর আবদুল খালেক (র) এর খলিফা ও মুরিদদের মধ্যে উল্লখেযোগ্য ছিলেন প্রথম খলিফা ইমামুত্ব তরিক্বত শায়খ সায়্যিদ বোরহানুদ্দীন উয়েসী (র)। আধ্যাত্মিক জগতের এই কামেল পুরুষ কুতুবুল ইরশাদ পীর প্রফেসর আবদুর খালেক (র) এর কাছে বায়আত গ্রহণ করেন ১৯৪৮ইং সালে। বায়’আত গ্রহণের পর কঠিন রিয়াযতে মনোনিবেশ করেন। ঐ সালেই তাঁর পীর ক্বিবলার সাথে প্রথম হজ্জে যান এবং তিনি খিলাফত প্রাপ্ত হন মাত্র ছয় মাসের মধ্যে। দ্বিতীয় বার তিনি হজ্জে পীর ক্বিবলার সফর-সঙ্গী হন ১৯৫২ইং সালে। তিনিই ছিলেন তাঁর পীর ক্বিবলার প্রথম এবং প্রধান খলীফা। তাঁর পীর ক্বিবলাহ তার সম্পর্কে সূফী ফতেহ আলী সাহেবকে ১৯৫৩ইং সালে করাচী থেকে এক পত্রে লিখে পাঠান: “সূফী বোরহানউদ্দীন সাহেব হযরত দাদা পীর সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহের ক্বদম-বক্বদম চলিতেছেন। তিনি একটি দ্বীনী মাদ্রাসা ক্বায়েম করিয়াছেন যাহার প্রত্যেকটি ছাত্রই ভাল সালেক হইয়া যাইতেছেন। অনেকেরই কাশফ হইতেছে। আল্লাহতা’আলার খাস রহমতে তিনি যে, মাদ্রাসা উপলক্ষে মাহফিল করেন, তাহাতে হযরত নবী করীম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত ওয়ায়েছ ক্বারানী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু রূহানী ভাবে উপস্থিত থাকেন। মাদ্রাসার জন্য তিনি সহ কিছু ওয়কফ করিয়া দিয়াছেন। নিজের কাছে এক কড় জমীন ও নাই। রূহানী ভাবে হযরত ওয়ায়েছ ক্বারানী (র) তাকে উয়েসীয়া ত্বরীকার তা’লীম দিয়াছেন এবং সোহরাওয়ারদীয়া ত্বরীক্বায় ও হযরত শাহাবুদ্দীন সোহরাওয়াদী (র) হইতে তা’লীম পাইয়াছেন। দোয় করিতেছি আল্লাহ পাক তাহাকে আরও বহু গুণে তরক্কী দান করুন এবং মুজাদ্দেদে জামান করিয়া হায়াত দারাজ করুন”।

কুতুবুল ইরশাদ (র.) এর এযাযত ও নির্দেশে সূফী বোরহানুদ্দীন উয়েসী (র) নেদায়ে ইসলাম নামক সেবা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৪৯ সালে যা বাংলাদেশে অসংখ্য মাদ্রাসা ইয়াতিম খানা, মুসাফির খানা, হাসপাতাল, মহিলা মাদ্রাসা, কামিল পর্যায়ে মাদ্রাসা শিক্ষা ও প্রস্তাবিত মিশরের আল-আযহার সমমানের বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি শিক্ষা, কম্পিউটার ও যুব প্রশিক্ষন ইত্যাদি বহুমাত্রিক কর্মসূচীর মাধ্যমে দেশ, জাতি ও দ্বীন ইসলামের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ইমামুত্ব তরিক্বত (র) তাঁর কামেল পীরের রূহানী তায়াজ্জুহ্ ও দোয়ার বরকতে কঠিন রিয়াজত ও সাধনা, গবেষনার মাধ্যমে পরবর্তী আল্লাহর হাবীব (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম) কর্তৃক খাসনামে “আহমাদিয়া তরিকা” প্রাপ্ত হন। সেখানে ১১ তম লতিফা আবিস্কৃত হয়। সুলতানুল আযকার কুবরার মাকাম বা দায়রা আবিস্কৃত হয়। ১১ তম লতিফা খলার (শূন্য) মাধ্যমে বিনয় প্রতিষ্ঠা হয় সালেকের জীবনে, বর্তমানে এই লতিফা খলার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত পরমানু বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. শমসের আলী।

এই বিশাল অর্জনকে আগেই স্বীয় রুহানী দৃষ্টিতে উপলব্ধি করে পীর প্রফেসর (র) বলে গিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ইমামুত্ব তরিক্বত (র) বলেন “বায়াত গ্রহনের শুরুতেই পীর ক্বিবলা আমাকে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী (র) সহিত রুহানী তার সংযোগ করিয়া দিলেন, ১৯৪৮ ইং জানুয়ারীতে পীর ক্বিবলা (র) নির্দেশ দিলেন আপনার সিলসিলা এক বিরাট মকবুল জামাতে পরিনত হইবে দ্বিতীয় বার লিখেন আপনার সিলসিলার তা’লীম আমাদের ত্বরিক্বার সকলকে দিতে চেষ্টা করিবেন। তৃতীয় বার লিখেন” আমাদের ত্বরীক্বার মধ্যে আপনি সবচেয়ে নিকটে। ১৯৫২ ইং সনে তিনি আহকারকে পাগড়ী মুবারক দান করেন। ইন্তিকালের কিছুদিন পূর্বে অন্তমি অবস্থায় শেষবার তিনি বলেন “সৈয়দ আহমদ শহীদ বেরেলবী (র) সাহেবের টুপী আমার কাছে আছে লইয়া যাইবেন”

ইমামুত্ব তরিক্বত (র) বলতেন “আমার মুরশিদ কিবলার বড় কারামত এই যে, তার মুবারক ময় সোহবতে, দাড়িয়ে দাড়িয়ে প্রস্রাব করা লোকও সুন্নাতের রঙ্গে দাড়ি, টুপি, পাগড়ী ও কোর্তা পড়তে শুরু করে মর্দে মুমিনে পরিণত হয়”

পীর প্রফেসর (র) এর প্রায় ২৫ জন অন্যান্য খলিফা বৃন্দের মধ্যে সূফী খোন্দকার আবদুল জব্বার (র), অধ্যাপক এম.এফ.এম আবদুল আযীয (র), সূফী ফাতেহ আলী (র), সূফী সিদ্দিক আহমদ খান (র.),ও বিশিষ্ট মুরিদ মুসলিম রেঁনেসার কবি ফররুখ আহমদ (র.) প্রমুখ উল্লখেযোগ্য । কবি ফররুখ আহমদ (র.) কে তিনি কমিউনিউজমে অন্ধকার ছায়া থেকে তার জ্ঞানগর্ভ বক্তবের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনেন আলোর পথে এবং তারই দোয়ায় পরবর্তীতে কবি ফররুখ আহমদ মুসলিম রেনেসার কবি হিসেবে নতুনভাবে আবির্ভূত হন। কবি তার সিরাজুম মুনীরা কাব্যগ্রন্থ তার মুর্শিদ পীর প্রফেসর আবদুল খালেক সাহেবকে (র) উৎসর্গিত করেন।কএ প্রসঙ্গে কবি কণ্যা সাহিত্যিক সাইয়েদা ইয়াসমিন বানু বলেন “ প্রথম জীবনে আব্বা ছিলেন উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত মানবতাবাদী কমরেড এম.এন. রায়ের শিষ্য, যিনি আটটি ভাষায় পন্ডিত ছিলেন। আব্বার জীবনে এক অচিন্ডনীয় পরিবর্তনের মূলে যে মহান আওলিয়ার দোয়া ছিলো। তিনি হচ্ছেন আব্বার পীর মরহুম অধ্যাপক আবদুল খালেক (র) । তৎকালীন যুগে ফারসী ও আরবী তে এম,এ ফাষ্টক্লাস ফাষ্ট (গোল্ড মেডেলিষ্ট)। বহু বিতর্কের মাধ্যমে আব্বাকে পরাস্থ করে সেদিন তিনি আব্বাকে বুঝিয়েছিলেন যে, ইসলামই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবন-ব্যবস্থা, যেখানে মানুষের জাগতিক ও আধ্যাত্মিক উভয় প্রকার সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান রয়েছে’’।
নবী প্রেমিক, আদর্শবান, আধ্যাত্মিক জগতের কুতুবুল ইরশাদ অধ্যাপক সাহেবের তেজোদীপ্ত ভাষনে থাকতো শিক্ষিত-অশিক্ষিত মানুষের আত্মশুদ্ধি ও আতেœাসর্গের সহজবোধ্য উপদেশ। তার প্রতিটি বক্তৃতা মানুষের হৃদয় র্স্পশ করতো তাঁর ভাষনের সামান্য অংশ পাঠকের অবগতির জন্য এখানে উদ্ধৃত করা হলো- “আপনারা চোখের যে অংশটুকু দিয়ে দেখেন তার পরিমিতি হল এক ইঞ্চির চৌদ্দ ভাগের এক ভাগ। এই সামান্য অংশটুকু দিয়েই আপনারা আপনাদের আবেষ্টনীর সবকিছু, আকাশলোক ও গ্রহলোকের কিয়দংশ পর্যন্ত অবলোকন করতে পারেন। কিন্তু আপনাদের হৃদয়ের এক পাশে এমন একটি মাংসপিন্ড রয়ে গেছে যাকে পরিস্কার ও পবিত্র করে নিতে পারলে আপনারা বিশ্বের সবকিছু তদ্বারা অবলোকন করতে পারেন”। তিনি বলেন- “যে শিক্ষা শুধু মানুষের বুদ্ধিশক্তির উৎকর্ষ আণয়ন করে, অপরপক্ষে কালব বা হৃদয় শক্তি খর্ব করে দেয় সে শিক্ষা মানুষের মুক্তি আনয়ন করতে পারে না। কিন্তু যে শিক্ষা মস্তিষ্ক বা হৃদয় শক্তিকে প্রসারিত করে তোলে, সে শিক্ষাই আদর্শ শিক্ষা- আল কোরআন ও আদর্শের শিক্ষা বিশ্ব জগতের নিগুঢ়তত্ত্ব লাভের শিক্ষা। এরূপ শিক্ষালাভ করতে পারলেই মানুষ আত্মিক পবিত্রতা বজায় রাখতে পারে ও আত্মিক উন্নতি লাভে সমর্থ হয়।”

তরিকতের বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন আর এই উপলক্ষে সাধারন গ্রামবাসী যেমন তার কাছে আসতেন, তেমনি আসতেন দেশের সর্বোচ্চ পদের অধিকারী মানুষও। পাকিস্তানের গভর্ণর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ সহ অনেক গণ্যমান্য মানুষ তার নিকট ইসলামের বাণী শুনে এ ধর্মে দীক্ষা নিয়েছেন। এমনি এক ব্যক্তি ছিলেন ‘আইসিএম’ ক্যাডারের জাদরেল অফিসার ডি.কে. পাওয়ার। দাউদ খালেদ পাওয়ার তার পবিত্র হাতে বায়আত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে।

বিরল প্রতভিার অধিকারী মানব প্রেমিক এই মানুষটি সারাটি জীবন অতিবাহিত করেছেন দীন ইসলামের খেদমতে আর নবীজীর সুন্নাত অনুসারে। তাই নবীজীর সুন্নাত অনুসরনে এই পৃথীবীর মায়া ত্যাগ করে মাবুদ মাওলার সান্নিধ্যে চলে যান ৬৩ বছর বয়সে ১৯৫৫ সালের ২ এপ্রিল, ৮ইং শাবান ১৩৭৪ হিজরী, বাংলা ১৯ চৈত্র ১৩৬২ সালে। ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।

তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায়। প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন বায়তুল মোকাররমের প্রথম খতীব আওলাদে রাসূল মাওলানা মুফতী আমীমুল এহসান মুজাদ্দেদী (র) ইমামতিতে শেরে বাংলা এ,কে ফজলুল হক, মাওলানা আবদুল হামীদ খান ভাসানী সহ অনেক সমাজ ও রাষ্ট্রের অনেক গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ শরীক হন। কিন্তু কুতুবুল ইরশাদ (র) এর ওসিয়ত ও গায়েবী নির্দেশে তার প্রিয়তম খলিফা শায়খ বোরহানুদ্দীন (র) ছতুরা ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়ায় হাজির হন ও শেষ নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন। জানাযায় হাজার হাজার মুরীদান, গ্রামবাসী অংশগ্রহণ করে। তারপর ছুতুরা শরীফে তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা সংলগ্ন স্থানে দাফন কার্য সম্পন্ন হয়। তাঁর মাযার শরীফ আজও অসংখ্য ভক্তের জেয়ারত গাহ। প্রতিবছর ৪ ফাল্গুন ১৬ই ফ্রব্রেুয়ারী মাযার শরীফ সংলগ্ন মসজিদ প্রাঙ্গনে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহনে ইসালে সওয়াব মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। তাঁর ইন্তকোলের পর ঢাকার বিখ্যাত মাসিক ‘মাহেনও’ মন্তব্য করেছিল-“ একজন জ্ঞাণী-গুণী, আদর্শবাদী, ধর্মপরায়ন ও সাধু ব্যাক্তি হিসাবে তার শ্রদ্ধেয়তা ছিল প্রশ্নাতীত। বাগ্মী ও লেখক হিসেবেও তিনি ছিলেন সুপরিচিত।”

তথ্য সূত্রঃ-
১. জীবনী-হযরত শাহ সূফী অধ্যাপক আবদুল খালেক (র.)- সিদ্দিক আহমদ খান
২. ফুরফুরা শরীফরে ইতবিৃত্ত – মুবারক আলী রহমানী
৩. ফুরফুরার ইতিহাস-আবদুল্লাহ্ আল আরিফ সম্পাদিত
৪. ইসলাম প্রসঙ্গ- ড. মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ
৫. আখেরী নবী (স.), হাদীয়াতুছ সালেকীন- আল্লামা শায়খ মুহাম্মাদ বোরহানুদ্দীন (র)
৬. কবি ফররুখ আহমদ-ব্যক্তি ও কবি – শাহাবুদ্দিন আহমদ সম্পাদিত
৭. সাইয়েদুল মুরসালিন (তৃতীয় খন্ড) – অধ্যাপক আবদুল খালেক (র.)
৮. ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া জেলার ইতিবৃত্ত – শোয়েব চৌধুরী সম্পাদিত

Comments

comments