আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ্ মোজাদ্দেদী হুজুরের কিছু অমূল্য বাণীঃ
আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ্ মোজাদ্দেদী হুজুরের কিছু অমূল্য বাণীঃ
যতক্ষন না মানুষের মধ্যে পাঁচটি বস্তু দেখা যায় ততক্ষন সে জান্নাতের দাবী করতে পারে না!!
১। সৎ পথে অবিচল থাকা
২। জ্ঞান পরিচালনার দ্বারা কর্ম পন্থা নির্ধারণ করা
৩। প্রকাশ্যে গোপনে উভয় অবস্থায় আল্লাহর ধ্যান করা
৪। মৃত্যুর কথা স্মরণে রেখে পরকালের সম্বল অর্জনে ব্রতী হওয়া
৫। রোজ কিয়ামত আসার আগেই নিজের আমলের হিসাব নিকাশ করা
আল্লাহকে পাওয়ার একমাত্র পথ অহম বা আমীত্ত বর্জন করা।
হালাল খাদ্যের অনুপস্থিতি এবাদতের একাগ্রতায় বিঘ্ন ঘটায়।
যার বিদ্যা উনুযায়ী চর্চা আছে, যার লোভ লালসা নেই, আল্লাহর প্রশংসাই যে দ্বিধাহীন, এই তিন শ্রেণীর মানুষই উৎকৃষ্ট মানুষ।
আগামী কালের কথা না ভেবে বর্তমান নিষ্ট হওয়াকেই বলে নির্ভরতা।
দুটি জিনিস হৃদয় ধ্বংস করে। (১) অধিক ভোজন (২) বেশী শয়ন।
যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া কেবল মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করে, সে যেন ফেরাউনের বিছানায় উপবিষ্ট হয়।
শপথ ও প্রতিজ্ঞা করা উচিত নহে। তবে শপথ বা প্রতিজ্ঞা করে বসলে তাহা পালন করবেন।
মুহাব্বতের নিদর্শন এই যে, বান্দা আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করবে এবং সাথে সাথে তাঁর এ ভয় ও থাকবে যেন তাঁর নৈকট্য হতে সে বঞ্চিত না হয়।
পিতা মাতার দিকে ভক্তি পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকানোও ইবাদত।
সত্যিকার বন্ধু ঐ ব্যক্তি যে বন্ধুর দেওয়া বিপদকে হৃষ্ট চিত্তে গ্রহণ করে।
রিপুর বাসনা যে ত্যাগ করেছে সে আল্লাহকে পেয়েছে। আর যে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করেছে, সব কিছু তাঁর নাগালে এসে গেছে।
জ্ঞান অর্জন করতে হবে জ্ঞানী ব্যক্তির কাছ থেকে
মানুষ ছাগল ভেড়ার চেয়েও অসাবধান। রাখালের ডাক শুনে পশুরা ঘাস খাওয়া বন্ধ করে তার কাছে ছুটে যায়। কিন্তু মানুষ তার প্রতিপালকের আহ্বান শুনেও ভ্রুক্ষেপ করে না। অসৎ কর্মেই লিপ্ত থাকে।
যখন আল্লাহ অন্তরে বিরাজ করেন তখন মনে শান্তি আসে।
প্রকৃত বুদ্ধিমান সে-ই, যে নির্জনতা পছন্দ করে।
নিজেকে নিয়ামতের অনুপযুক্ত বলে ধারণা করাই হল কৃতজ্ঞতা।
আল্লাহ যাকে যোগ্য ও উপযুক্ত মনে করেন, তার পেছনে এক ফেরাউন লাগিয়ে দেন।