খবরের বিস্তারিত...


বায়তুল মোকাররমে ইসলামী ছাত্রসেনার বিক্ষোভঃ রাষ্ট্রধর্ম বাতিল হলে পরিণত হবে ভয়াবহ

মার্চ 25, 2016 সাংগঠনিক খবর

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখার দাবিতে ইসলামী ছাত্রসেনা’র বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত।।
বুকের রক্ত দিয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষা করা হবে।।— এডভোকেট শাহীদ রিজভী।।

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক এডভোকেট মুহাম্মদ শাহীদ রিজভী বলেছেন, যে দেশের জনগণ মাতৃভাষা বাংলাকে বুকের রক্ত দিয়ে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে, আজ সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার দাবিতে বুকের রক্ত ঢেলে দিতে এই বীরের জাতি কসুর করবে না। তিনি আজ শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগর আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী প্রতিবাদ সমাবেশে একথা বলেন। ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগর সভাপতি সৈয়দ আবু ছায়িদ শাফিন এর সভাপতিত্ব এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় সভাপতি এম মনির হোসাইন, ইসলামী ছাত্রসেনা ঢাকা মহানগর সহ-সভাপতি এ.বি.এম আরাফাত মোল্লা.ইসলামী ছাত্রসেনা লালবাগ থানা সভাপতি মিজানুর রহমান,ইসলামী ছাত্রসেনা মুগদা থানা সভাপতি এন এইচ তুষার,ইসলামী ছাত্রসেনা মতিঝিল থানা সভাপতি সামিউল শুভ, নারায়নগঞ্জ জেলা সভাপতি রাহাত হাছান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় সভাপতি এম মনির হোসাইন বলেন,এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে একটি চিহ্নিত মহল ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র করছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষার অধিকার কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে, যে দেশের অকুতোভয় সন্তানেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে গৌরবদ্বীপ্ত ১৯৫২ইং এর সৃষ্টি করেছিল, ঠিক সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের ধর্মের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রকেও রক্ত মূলে ন্যস্যাৎ করে দেবে এ দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ।

বক্তারা আরো বলেন, “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” এটি একটি মিমাংসিত বিষয়। এ বিষয়ে দায়েরকৃত একটি রিট আবেদন মহামান্য আদালতে খারিজ করা হলেও দীর্ঘ ২৮ বছর পরে এ নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়াটা নিতান্তই অমূলক। হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ নামক একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্টি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এর কারনে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে বলে যে অবান্তর গুজব ছড়িয়ে দেশের শান্তি-শৃংখলা নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে, তাদের উদ্দেশ্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, মুসলিম কমিউনিটিকে বাদ দিয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ গঠন করাই তো সম্প্রদায়িতকতার অনন্য নজির। সামাজিক ঘটনা প্রবাহের অংশ হিসেবে কোথাও কোন সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হলেও কিন্তু অপেক্ষাকৃত মুসলমানরাই নির্যাতিত হয়েছে সর্বাধিক। অতএব, এধরনের কল্পনাপ্রসূতঃ গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার এর হীন প্রচেষ্টা ও সংবিধান থেকে “রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম” কে বাদ দেয়ার যে কোন ষড়যন্ত্র রুখে দেবে এদেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ।

Comments

comments