হযরত আলী কাররামাল্লহু ওজহাহু আলাইহিস সালাম উনার কতিপয় ফযীলত
আসাদুল্লাহিল গালিব, খলীফাতুল মুসলেমিন, আমীরুল মু’মিনিন, হযরত আলী কাররামাল্লহু ওজহাহু আলাইহিস সালাম উনার অসংখ্য ফযীলত থেকে কতিপয় ফযীলত তুলে ধরা হলো।
(১) ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হযরত আলী আলাইহিস সালাম এর ফযীলত সম্পর্কিত যতগুলা হাদীস রয়েছে, এর চাইতে অধিক হাদীস অন্য কোন সাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের ব্যাপারে বর্নিত হয়নি। সুবহানাল্লাহ্!
(২) হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, হে আল্লাহ পাক! যে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওজহাহু আলাইহিস সালামকে ভালোবাসবে আপনি তাকে ভালো বাসুন। যে উনার প্রতি বিদ্বেষ করবে আপনিও তার সাথে তাই করুন।
(৩) হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি যার বন্ধু হযরত আলী আলাইহিস সালাম তিনিও তার বন্ধু।
সুবহানাল্লাহ্!!
(৪) হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, হযরত আলী আলাইহিস সালাম তিনি আমার, এবং আমিও হযরত আলী কাররামাল্লহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম এর সুবহানাল্লাহ্!
(৫) হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শপথ করে বলেছেন, মু’মিনরা হযরত আলী আলাইহিস সালামকে মুহব্বত করবে, আর মুনাফিকরা শত্রুতা করবে।
(৬)হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি জ্ঞানের শহর, আর আলী আলাইহিস সালাম সেই জ্ঞানের শহরের দরজা। সুবহানাল্লাহ্ !
(৭) হযরত সা’দ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হযরত আলী আলাইহিস সালামের থেকে কোন মাসায়ালা নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া গেলে সে মাসায়ালা নিয়ে যাচাই বাছাই প্রয়োজন নেই। সুবহানাল্লাহ্!
(৮) উম্মুল মু’মিনিন হযরত আয়িশা সিদ্দীকা আলাইহাস সালাম বলেন, সুন্নত সম্পর্কে হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার জ্ঞান ছিলো সবচেয়ে বেশি। সুবহানাল্লাহ্ !
(৯) হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, পবিত্র কুরআন শরীফে হযরত আলী কাররামাল্লহু ওজহাহু আলাইহিস সালামের শানে যতটুকু অবতীর্ণ হয়েছে, ততটুকু কারো শানে হয় নাই। সুবহানাল্লাহ্!
(১০) হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, হযরত আলী কাররামাল্লহু ওজহাহু আলাইহিস সালাম উনার প্রতি দৃষ্টি দেয়াই ইবাদত। সুবহানাল্লাহ্!
(১১) হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, হযরত আলী কাররামাল্লহু ওজহাহু আলাইহিস সালামের মধ্যে এমন ১৮ টি বৈশিষ্ট্য ছিলো যা অন্যান্য ছাহবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের ছিলো না। সুবহানাল্লাহ্ !!
(১২) হযরত সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, ندع ابناء ناو ابناءكم এ আয়াত শরীফ অবতীর্ণ হওয়ার পর হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী কাররামাল্লহু ওজহাহু আলাইহিস সালাম, হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম , হযরত ইমাম হাসান এবং ইমাম হুসাইন আসাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ডেকে উনাদের জন্য দোয়া করলেন, ইয়া আল্লাহ ! ইনারা আমার পরিবার। সুবহানাল্লাহ্!
(১৩) হযরত আলী কাররামাল্লহু ওজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি নিজেই বর্ননা করেন, আল্লাহ পাকের কসম ! প্রতিটা আয়াত শরীফের শানে নযূল, আয়াতটি কোথায় এবং কার ব্যাপারে নাযিল হয়েছে তা আমার জানা রয়েছে। আমার প্রতিপালক আমাকে প্রজ্ঞা এবং ইলিম দান করেছেন।
সুবহানাল্লাহ্ !
(১৪) হযরত আলী কাররামাল্লহু ওজহাহু আলাইহিস সালাম আরো বর্ননা করেন, কুরআন শরীফ সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাকে জিজ্ঞাসা করো,আমার অবগতির বাইরে কোন আয়াতে কারিমা নেই। আমি বলতে পারবো, আয়াত শরীফটি রাতে না দিনে, ময়দানে না পাহাড়ে অবতীর্ণ হয়েছে। সুবহানাল্লাহ্!
দলীল- : মুসলিম শরীফ, তিরমীযি শরীফ , আবু দাউদ শরীফ, নাসাঈ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, তাবরানী শরীফ, বায়হাক্কী শরীফ, ইবনে সা’দ, আবু ইয়ালা, মুস্তাদরেকে হাকিম, মুসনাদে আহমদ , বাযযার, ইবনে আসাকির, ইবনে আবী হাতিম, তারিখুল খুলাফা)
হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালামকে মুহব্বত করা ঈমান। ইয়া আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত এবং আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত আমাদের অন্তরে দান করুন।আমিন।