
ইসলামী ছাত্রসেনার ৩৭ তম প্রতিষ্টাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শহীদ মিনার চত্বরে ছাত্রসমাবেশ ও র্যা লী
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জননেতা অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন- সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোন সরকারই নির্বাচন পরিচালনা করেনা। নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন পরিচালনা করে। এজন্য সংবিধানের ১১৮নং অনুচ্ছেদে একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা হবে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও সরকারের প্রভাবমুক্ত। তাই নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন হবে, শুধু সংবিধান ও আইনের অধীন হবে। সুতরাং নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি পক্ষপাতমুক্ত ও সুষ্ঠু প্রক্রিয়া স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে স্বাধীন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের আর কোন বিকল্প নেই। সরকারের নির্বাহী বিভাগের আওতা বহির্ভূত থেকে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কর্মকান্ড যদি কমিশনের স্বাধীনভাবে পরিচালনা করার সুযোগ থাকে, কমিশনের সার্বিক কাজের সুবিধার্থে প্রয়োজন মোতাবেক সামরিক, আধা সামরিক ও আইন প্রয়োগকারী বাহিনী সরবরাহ করতে যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাধ্য থাকে, কমিশনের যাবতীয় পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রচারে সকল সম্প্রচার মিডিয়া যদি বাধ্য থাকে, সর্বোপরি নির্বাচনে জাল ভোট দেয়ার সর্বপ্রকার সুযোগ যদি বন্ধ করা হয়, তবেই অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ ও সর্বজনগ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জননেতা এইচ. এম. মুজিবুল হক শুক্কুর বলেছেন- উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে দেশ অনেকদূর এগিয়ে গেলেও বর্তমানে বড় বাধাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিশপ্ত জঙ্গীবাদী সন্ত্রাস। এ অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা আজ সময়ের দাবী। এ অপশক্তি প্রতিরোধে ছাত্রসমাজসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় বৃথা হয়ে যাবে জাতীয় জীবনের সর্বপ্রকার অর্জন। ভুলুন্ঠিত হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মহান স্বাধীনতার মূল্যবোধ। ব্যাহত হবে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থ। ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি ছাত্রনেতা এম. মনির হোসাইন জাতীয় শিক্ষানীতির অধীনে প্রণীত ২০১৬ইং সিলেবাসে ইসলামী আদর্শ সম্মিলিত গল্প, কবিতা ও ইসলামী মনীষীদের জীবনালেখ্যকে পূন:সংযোজন করায় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও বারংবার প্রশ্নপত্র ফাঁস এর সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্যও তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানান। ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে অদ্য ২০ জানুয়ারী ২০১৭ইং, রোজ- শুক্রবার, বিকাল ২ ঘটিকায় চট্টগ্রাম নগরীর ঐতিহাসিক শহীদ মিনার চত্বরে বিশাল ছাত্রসমাবেশে বক্তরা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি কাজী সুলতান আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ছাত্রসমাবেশে প্রধান অতিথি ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর, উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান পীরে তরিকত আল্লামা ছৈয়দ নাছেরুল হক চিশতী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনকি সম্পাদক জননেতা এইচ.এম. মুজিবুল হক শুক্কুর, অর্থ সম্পাদক এডভোকেট শাহীদুল আলম রিজভী, দক্ষিণ জেলার নেতা স.ম. হামেদ হোসাইন, উত্তর জেলার নেতা অধ্যাপক সৈয়দ হাফেজ আহমদ, মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস.এম. আবদুল করিম তারেক, অধ্যক্ষ এম. ইব্রাহিম আখতারী, এম. মহিউল আলম চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রিয় সভাপতি এম. মনির হোসাইন, বিশেষ বক্তা ছিলেন ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনকি সম্পাদক ছাত্রনেতা আহমদ রেজা। ছাত্রসমাবেশে অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক এম. মফিজুর রহমান, লায়ন এম. ইমরান, এম. নিজাম উদ্দিন নোমানী, এম. মাহবুবুল করিম, ইদ্রিস তাহেরী, ইলিয়াছ খান ইমু, মহিউদ্দিন তাহেরী, ইঞ্জিনিয়ারা মোঃ আরিফ উদ্দিন, এস.এম. আবু ছাদেক সিটু, এম. আহসানুল আলম, এম. জহির উদ্দিন জহির, এম. কফিল উদ্দিন, মুহাম্মদ সেলিম উল্লাহ চৌধুরী। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ রেজাউল করিম, ছাত্রনেতা খ.ম. জামাল উদ্দিন, এম. নুরুল আবছার কফিল, জসিম উদ্দিন চৌধুরী আকাশ, মুহাম্মদ ইরফান উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এম. ইউসুফ কবির, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আহবায়ক এম. কামরুল হাসান শাকিল ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রস্তুতি কমিটির সচিব রাশেদুল ইসলাম রাসেল, সুলতানুর রশিদ, মনির উদ্দিন প্রমুখ।