নেক ছোহবতের অভাবেই আজকের মানুষ পথহারা, দিশেহারা ও গুমরাহ হয়ে যাচ্ছে
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন নেক ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমেই। উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমেই এই কৃতিত্ব তথা ফযীলত অর্জন করেন। যুগে যুগে যারাই হাক্বীক্বী মানুষ হয়েছেন, ওলীআল্লাহ হয়েছেন, উনারা সকলেই নেক ছোহবত ইখতিয়ারের মাধ্যমেই অভীষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছেন।
নেক ছোহবত ছাড়া কেহই ভালো হতে পারবে না, ওলীআল্লাহ হতে পারবে না। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “তেমরা সত্যবাদী তথা হক্কানী রব্বানী ওলীআল্লাহ উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করো।”
এ পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা মহান আল্লাহ পাক তিনি নেক ছোহবত ইখতিয়ার কারকে ফরয করে দিয়েছেন। আর এ প্রেক্ষাপটেই হযরত শায়েখ সা’দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- ‘তোমাদের সন্তান হলে তাদেরকে ওলীআল্লাহ উনাদের ছোহবতে পাঠিয়ে দাও। কারণ তারা ওলীআল্লাহ উনাদের ছোহবত-এ গিয়ে ওলীআল্লাহ না হতে পারলেও গুমরাহ হবে না।’ সুবহানাল্লাহ!
আজকে দেশে-বিদেশে মানুষগুলো চরম পথভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত হচ্ছে, প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে চোর ডাকাত, ছিনতাইকারী, ব্যভিচার, সুদখোর, ঘুষখোর, বদমায়েশ, পাজি, ঠগ, বদচরিত্র লোকের অভাব নেই। এর কারণ একটাই মানুষ নেক ছোহবত থেকে অনেক দূরে সরে চলে গেছে।
ওলীআল্লাহ উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার না করার কারণেই মানুষরা এত খারাপ ও দুশ্চরিত্র হচ্ছে। যারা আলিম, হাদি, ওলীআল্লাহ দাবি করছে; তারাও হাক্বীক্বী ওলীআল্লাহ নয়। তারাও গুমরাহ, তারাও পথভ্রষ্ট। নাউযুবিল্লাহ!
তাহলে বর্তমান যামানায় কি কেউ নেক ছোহবত ইখতিয়ার করে না? নেক ছোহবত ইখতিয়ার করার স্থান নেই? মানুষ কি ওলীআল্লাহ হবে না? অবশ্যই হবে। আর সেজন্য যেতে হবে মহান আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার কাছে। কেননা তিনি হচ্ছেন নায়িবে নবী, ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া, হাক্বীক্বী ওলীআল্লাহ। সুবহানাল্লাহ! উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করলেই মানুষ ভালো হয়ে যাবে, আদর্শ ফিরে পাবে, ওলীআল্লাহ হবে। আলিম হবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পৃথিবীর সমস্ত জিন-ইনসানকে উনার ছোহবত ইখতিয়ার করে হাক্বীক্বী ওলীআল্লাহ হওয়ার তওফীক দান করুন। আমীন।