খবরের বিস্তারিত...


ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতিনিধি সম্মেলন সম্পন্ন

সেপ্টে. 04, 2018 সাংগঠনিক খবর

দীর্ঘদিন চাকসু নির্বাচন না হওয়াতে শিক্ষার্থীরা গণতন্ত্র চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইসলামী ছাত্রসেনা চবির প্রতিনিধি সম্মেলনে —— এম. সোলায়মান ফরিদ ।

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জননেতা এম সোলায়মান ফরিদ বলেছেন, ১৯৮৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন হয়েছিল। সে নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রসেনার দেয়া পূর্ণ প্যানেলে আমি এজিএস পদে নির্বাচন করেছিলাম। দুঃখজনকভাবে এরপর থেকে আজ অবধি আর চাকসু নির্বাচন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত দেশের উচ্চ শিক্ষার বিদ্যাপীঠে এধরণের ঘটনা লজ্জাজনক। এটা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার হননের নামান্তর। এর কারণে শিক্ষার্থীরা অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত অতিসত্বর চাকসু নির্বাচনের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে চবি গ্রন্থাগার মিলনায়তনে আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

ছাত্রনেতা এম. ইমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ছাত্রনেতা এম. আবু বকর সিদ্দীকীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি ছাত্রনেতা এম এম নাঈম উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি জননেতা স. ম. হামেদ হোসাইন, চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক এম মহিউল আলম চৌধুরী। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এস এম গোলাম হায়দার হাসিব। প্রধান বক্তা বলেন, অধিকাংশ ছাত্র প্রতিনিধিরা তাদের কর্তব্যের কথা ভুলে গিয়ে নানা অপরাধ কর্ম চর্চা করছে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, প্রভাব বিস্তার, খুন খারাবি ইত্যাদিকে তারা ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছে। এসব অপরাজনীতির হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করে কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক শান্তির সমাজ বিনির্মাণে ইসলামী ছাত্রসেনা দেশব্যাপী কাজ করে যাচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ ইমদাদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০% শিক্ষার্থী যাতায়াত ভোগান্তির শিকার হয়ে ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করে। এছাড়াও আধুনিক প্রযুক্তিতে এ বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি আর প্রশাসনের আন্তরিকতা থাকলে এসব সমস্যার সমাধান সময়ের ব্যাপার মাত্র।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক এম মঈন উদ্দিন মানিক। বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্রসেনা চবির সাবেক সভাপতি এম সাইফুর রহমান সাগর, এস এম হাসান মাসুদ মেম্বার, আলহাজ্ব আজিম মেম্বার, সৈয়দ মুহাম্মদ জাহিদ ক্বাদরী, কাজী সুলতান আহমদ, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন জাহেদ, ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল ইসলাম রাসেল, এস এম ইসমাঈল, ফারহানুল ইসলাম কাউসার, বোরহান উদ্দিন রব্বানী, জাকের হোসাইন, দেলোয়ার হোসাইন, আব্দুর রহিম, শিহাব উদ্দিন, আবু তৈয়ব, আব্দুল কাদের, শাহাবুদ্দীন রুবেল, গিয়াস উদ্দিন, রাশেদুল ইসলাম, তাওহীদুল আলম, আবু বকর, মহিউদ্দিন ফারুকী প্রমুখ।

কাউন্সিলে মুহাম্মদ ইমদাদুল ইসলামকে সভাপতি, বোরহান উদ্দিন রব্বানীকে সিনিয়র সহ সভাপতি, মুহাম্মদ জাকের হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক, আব্দুর রহিমকে সাংগঠনিক সম্পাদক ও দেলোয়ার হোসাইনকে অর্থ সম্পাদক করে কার্যকরী পরিষদ ২০১৮-১৯ ইং ঘোষণা করা হয়।

Comments

comments