চট্টগ্রাম জেলা ইসলামী ছাত্রসেনার বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে- অধ্যক্ষ আল্লামা জুবাইর
সেক্যুলার শিক্ষানীতির অন্তরালে ধর্মবিমুখ করার পাঁয়তারা ইসলাম বিদ্বেষী মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব জাতীয় নেতা অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন- পাঠ্য পুস্তক প্রণয়নে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও ভিনদেশি সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ দেশ-জাতির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। সেক্যুলার শিক্ষানীতির দোহাই দিয়ে ৯২ শতাংশ অধ্যুষিত মুসলিম প্রধান একটি দেশে শিক্ষার্থীদের ধর্মবিমুখ করার ঘৃন্য পাঁয়তারা ক্ষমতাসীনদের ইসলাম বিদ্বেষী মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ। পাঠ্য পুস্তকে চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্ব অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার্থীদের মাঝে ইসলাম ধর্ম বিরোধী বিভ্রান্তি ছড়ানোর মত অপপ্রয়াস অবাঞ্ছিত সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেবে বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন- পাঠ্য পুস্তকে হিজাব পরিধান ও দাড়ি রাখার মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী নির্দেশনার বিষয়ে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী বলেছেন- প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে পাঠ্য বই থেকে ইসলামী তাহজিব -তামাদ্দুন সম্বলিত গল্প, বিভিন্ন ইসলামী মনীষীদের জীবনালেখ্যকে বাদ দেয়া হয়েছে। তিনি অবিলম্বে আপত্তিকর ও উলঙ্গ ছবিযুক্ত কোরআন-হাদীস বিরোধী, বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস বাতিল পূর্বক এ কাজে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবী জানান।পাশাপাশি শিক্ষা কমিশনে অভিজ্ঞ ইসলামিক স্কলার তথা দেশের বরেণ্য সুন্নী আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্যও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। চট্টগ্রাম মহানগর ইসলামিক ফ্রন্টের সভাপতি এইচ, এম মুজিবুল হক শাকুর বলেছেন- নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতিতে জনজীবন ওষ্ঠাগত। পবিত্র রমজান অত্যাসন্ন। রমজানকে কেন্দ্র করে আরেক দফা মূল্যবৃদ্ধির শংকাকেও এড়ানো যাচ্ছে না। তাই এ মূহুর্তে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে আনা না গেলে কঠিন সংকটের মুখে পতিত হবে নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণী। সুতরাং এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকায় এগিয়ে আসার জন্য
তিনি সংশ্লিষ্টদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা ইমদাদুল ইসলাম বলেছেন- বিজ্ঞান বইয়ে ১১ জন উলঙ্গ নারী পুরুষের ছবি, হিন্দুদের দেব-দেবীর নগ্ন ও অর্ধনগ্ন ছবি রয়েছে। এছাড়াও মূর্তিপূজার সংস্কৃতিচর্চাকে হাইলাইট করা হয়েছে। নবী ও সাহাবীদের নাম বাদ দিয়ে মন্দিরা, প্রিয়াংকা, মিসেল, ডেবিট, প্লাবন চাকমার মতো অমুসলিম নাম সংযোজন করা হয়েছে। যা একটি মুসলিম প্রধান দেশে কাম্য হতে পারে না।
ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে অদ্য ২৭ জানুয়ারি’২৩ ইং শুক্রবার বাদে জুমা জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে পাঠ্য পুস্তকে অসংগতি ও ইসলাম বিদ্বেষী পাঠ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম জেলা ইসলামী ছাত্রসেনা আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব এক সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম মহানগর ইসলামী ছাত্রসেনা সভাপতি ছাত্রনেতা কাউসারুল ইসলাম সোহেল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব জাতীয় নেতা অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম নগর ইসলামিক ফ্রন্ট সভাপতি এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, উত্তর জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ ছৈয়দ মাওলানা জসিম উদ্দিন তৈয়বী, দক্ষিণ জেলা সহ সভাপতি স ম শওকত আজিজ, মহানগর সহ সহ সভাপতি মুহাম্মদ সাহেদ আলী, মহানগর সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ওয়াহেদ মুরাদ।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন – ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা ইমদাদুল ইসলাম। চট্টগ্রাম মহানগর ইসলামী ছাত্রসেনার সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রাসেদুল ইসলাম রাসেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-
ডাঃ হাশমত আলী তাহেরী, মুহাম্মদ হোছাইন, রেজাউল করিম, আলাউদ্দিন আজাদ, এস.এম. আবু ছাদেক ছিটু, মুহাম্মদ ফরিদুল হক, গিয়াস উদ্দিন, মিসবাহুল ইসলাম,আবুল হাশেম রাশেদ, শহীদুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন, আবু বকর ও হাসান ইমাম প্রমূখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে কাজির দেউরি গিয়ে শেষ হয়।
