ইসলামী ছাত্রসেনা পটিয়া উপজেলা (পশ্চিম) পরিষদের উদ্যােগে “বিশ্ব এতিম দিবস” উদযাপন
এতিমদের নিয়ে মধ্যাহ্নভোজে — জননেতা এ এম. মঈন উদ্দীন চৌধুরী হালিম
যথাযথ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হলে এতিমরাও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ পটিয়া উপজেলা সভাপতি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জননেতা আলহাজ্ব এ এম মাঈনুদ্দীন চৌধুরী হালিম বলেছেন,–দেশ ও জাতি এখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। দেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধি এখন লক্ষ্যমাত্রা ছুঁই ছুঁই। স্বল্পোন্নত দেশের তকমা ঘুছিয়ে উন্নয়নশীল দেশে এবং নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে অভিষেক ঘটেছে। তথাপিও এদেশে এখনও অসংখ্য সম্ভাবনাময়ী শিশু অকালে হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। অনাদর-অবহেলা ও সঠিক পরিচর্যার অভাবে ক্রমাগতভাবে ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার দিকে নিপতিত হচ্ছে অসংখ্য-অগণিত পিতৃ-মাতৃহীন শিশুর জীবন। একথা অনস্বীকার্য যে, এসব পিতৃমাতৃহীন শিশুরা কোন বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা নয়। এরাও এদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পবিত্র ইসলাম ধর্মে এতিমদের প্রতি সদাচারণ, ভালোবাসা ও লালন-পালনের ক্ষেত্রে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। সুতরাং এদের তাচ্ছিল্য করার কোনো অবকাশ নেই। সত্যিকার অর্থে এদের যদি সঠিক পরিচর্যা করা হয়, এরাও একজন আদর্শ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। তাই সর্বপ্রকার বৈষম্যকে পদদলিত করে এদের পূনর্বাসনে ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলেরই মমত্ববোধ প্রদর্শন ও অকৃত্রিম ভালোবাসার হস্ত প্রসারিত করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। যথাযথ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার মাধ্যমে এতিমদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ইসলামী ছাত্রসেনা পটিয়া উপজেলা (পশ্চিম) পরিষদের উদ্যােগে গত ২০ এপ্রিল ২০১৮ ইং “বিশ্ব এতিম দিবস” উপলক্ষে শান্তিরহাটস্থ একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় এতিমদের নিয়ে আয়োজিত এক মধ্যাহ্নভোজে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। ইসলামী ছাত্রসেনা পটিয়া উপজেলা (পশ্চিম) পরিষদের সভাপতি তসলিম উদ্দীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মধ্যাহ্নভোজে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,–ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ পটিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন। ইসলামী ছাত্রসেনা পটিয়া উপজেলা (পশ্চিম) পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ তারেকুল ইসলাম তানিম এর সঞ্চালনায় অনুষ্টিত মধ্যাহ্নভোজে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, –মুহাম্মদ এরশাদ, মুবারক হোসেন হিরু, হাফেজ সাদেক হোসাইন, হায়দার আলী এবং সাঈমসহ প্রমুখ।
পরিশেষে এতিমদের নিয়ে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করা হয়।