খবরের বিস্তারিত...


পীরমুরিদি কেন? জেনে নিন

জুলাই 22, 2018 আক্বীদা

তরিকত শিক্ষার জন্যই পীর- মুরিদি প্রয়োজন। তরিকত, শরীয়তের সহায়তাকারী খাদেম সদৃশ।
তিনটি উপকরনের সমন্বয়ে শরীয়ত – এলেম , আমল এবং এখলাছ। এই এখলাস ( বিশুদ্ধ নিয়ত) অর্জনের জন্যই সুফিয়ানে কেরামের তরিকায় দাখিল হতে হয়। হাদীস শরীফে এসেছে ,
শয়তান মানুষের কলবে হাটু গেড়ে বসে থাকে। যদি কলব জিকিরে রত থাকে, তবে শয়তান কলবে আর থাকতে পারে না। আর কলব যদি জিকিরে গাফেল থাকে, তবে শয়তান পুনরায় কলবে বসে কুমন্ত্রনা দিতে থাকে।
প্রত্যেক মানুষের কলবে বা অন্তরে তাই সর্বক্ষন( ২৪ ঘন্টায়) জিকির জারি রাখা প্রয়োজন। তানা হলে শয়তানের প্রভাব থেকে কলব মুক্ত হতে পারবে না। আর শয়তানের প্রভাবিত কলব নিশ্চয় অপবিত্র, অশুদ্ধ।
নিয়তের উৎপত্তিস্থল এই কলব যার অশুদ্ধ থাকবে, তার নিয়তও হবে অশুদ্ধ। নিয়ত শুদ্ধ না হলে কোনো আমলই আল্লাহপাকের দরবারে গৃহীত হবে না। কারন হাদীস শরীফে বর্নিত হয়েছে, ” নিয়ত অনুযায়ী আমলের বা কর্মের বিচার করা হবে। ” তাই নিয়ত শুদ্ধ হলে আমল বা কর্ম শুদ্ধ হবে। আর নিয়ত অশুদ্ধ থাকলে আমল অশুদ্ধ হবে। হাদীস শরীফে আরও বর্নিত হয়েছে, ” নিশ্চয়ই তোমাদের শরীরে এক খন্ড মাংসপিন্ড আছে। সেই মাংস পিন্ড যদি শুদ্ধ হয় তবে শরীরও শুদ্ধ হবে। আর তা অশুদ্ধ থাকলে শরীরও থাকবে অশুদ্ধ।”
আল্লাহ পাকের এবাদত করতে গেলে বাহ্যিক ও আভ্যন্তরিন উভয় প্রকার পবিত্রতা অর্জন করতে হয়। তাই বাহ্যিক পবিত্রতা অর্জনের সাথে সাথে কলবের পবিত্রতা অর্জনও একান্ত জরুরী। তানা হলে অশুদ্ধ অন্তর থেকে উত্থিত অশুদ্ধ নিয়ত, খালেছ দ্বীন অর্জনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। আর আল্লাহ পাকের জন্য খালেছ দ্বীন আবশ্যক। যেমন আল্লাহ পাক এরশাদ করেছেন, ” সাবধান হও, আল্লাহ পাকের জন্য খালেছ বা বিশুদ্ধ দ্বীন আবশ্যক।”
শরীয়তের সহায়তাকারী, ” এখলাছ ” হলো শরীয়তের ১/৩ অংশ। এই এখলাছ অর্জনের জন্য তরিকা শিক্ষা দেন যাঁহারা, তাঁহারাই পীর বা মোর্শেদ।
এই পীর মোর্শেদ গনের মধ্য থেকে আল্লাহ পাক কাউকে কাউকে পুর্ন শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য এবং পুর্ন দ্বীন ইসলাম প্রসারের জন্য নিয়োজিত করেন।
তাঁহারাই” মোজাদ্দেদ” নামে অভিহিত হন।
আল্লাহ সকলকে বুঝার ও সে অনুপাতে এখলাসের সাথে আমল করার জন্য সকলকে হক্কানী পীরের নিকট বায়াত হবার তৌফিক দিন।

(সংগৃহীত)

Comments

comments

Related Post