পাগড়ী পরিধান করা দায়িমী সুন্নত
পাগড়ী পরা দায়েমী সুন্নত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বদা পাগড়ী মুবারক পরিধান করতেন, যার কারণে তিনি দুই ধরনের পাগড়ী রাখতেন। এক প্রকার ছিল সাত হাত লম্বা যা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় পরিধান করে বের হতেন। এমনকি জিহাদের ময়দানেও এই ধরনের পাগড়ী ব্যবহার করতেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঘরের মধ্যে যে পাগড়ী মুবারক পরিধান করতেন তা তিন হাত লম্বা ছিল। কোন কোন সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বাইরে ১২ হাত লম্বা পাগড়ীও ব্যবহার করতেন। পাগড়ীসমূহ চওড়া ছিল কমপক্ষে আধহাত। সাধারণত: সাদা, কালো, সবুজ রংয়ের পাগড়ী ব্যবহার করতেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঘরের মধ্যে যে পাগড়ী মুবারক পরিধান করতেন তা তিন হাত লম্বা ছিল। কোন কোন সময় অন্য রংয়েরও পাগড়ী পরিধান করতেন। যেমন ধুসর (ছাই) রংয়ের। পাগড়ীর শামলা সাধারণত: পিছনের দিকে থাকতো। শামলা ছাড়া পাগড়ী পরিধান করা বিজাতীয়দের লক্ষণ। শামলা লম্বায় আধ হাত হতে এক হাত পর্যন্ত হতো।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পাগড়ীর নীচে চার টুকরা বিশিষ্ট টুপী পরিধান করতেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পাগড়ী এমনভাবে পরিধান করতেন যাতে সম্পূর্ণ মাথা মুবারক আচ্ছাদিত হয়ে থাকতো। রুমাল দিয়ে পাগড়ী পরিধান করলে পাগড়ীর সুন্নত আদায় হবে না। কারণ পাগড়ীর এক মাপ ও রুমালের আরেক মাপ। রুমালের সুন্নত মাপ সাধারণত: আড়াই হাত, পৌনে তিন হাত ও তিন হাত বর্গাকৃত হইত। রুমাল পরিধান করাও সুন্নত।