ইসলামী ছাত্রসেনা ৩নং খানখানাবাদ ইউনিয়ন শাখার কাউন্সিল অনুষ্টিত
অদ্য সকাল ৯.৩০ ঘটিকায় খুপিয়া ডোংরাস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে ইসলামী ছাত্রসেনা ৩নং খানখানাবাদ ইউনিয়ন শাখার প্রতিনিধি সম্মেলন ও কাউন্সিল-২০২০ ছাত্রনেতা এম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়।
অনুষ্টানের শুরুতে কোরআন কারীম তিলাওয়াত করেন ছাত্রনেতা মোঃ মিজবাহ এবং নাতে রাসুল সাঃ পরিবেশন করেন ছাত্রনেতা নাঈমুল হাসান নিহাত।ছাত্রনেতা এম এম ফরহাদ রেজা বাহারীর সঞ্চালনায় অনুষ্টিত এ অনুষ্টানের উদ্বোধক ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩নং খানখানাবাদ ইউনিয়ন সভাপতি জননেতা শাহজাদা মাওলানা কবিউল আমিন আশরাফী।
অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩নং খানখানাবাদ ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক জননেতা মাওলানা সাজ্জাদ হোসেন সেলিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জননেতা মাওলানা জাকের এবং মাওলানা মঈন উদ্দিন।প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন জাহেদ। এবং বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রনেতা আবুল বায়ান, ছাত্রনেতা তৈহিদুল ইসলাম, ছাত্রনেতা ইফাজ উদ্দিন, ছাত্রনেতা শওকত হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্টানে নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামী রাজনীতি সবচেয়ে কঠিন। বন্ধুর এই পথে চাইলেই যে কেউ টিকে থাকতে পারেনা। তাকওয়া এবং নবীপ্রেম বুকে নিয়ে যারা সংগঠনকে আকড়ে ধরে থাকবে, যে কোন পরিস্থিতিতে সংগঠনের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকবে তারাই এখানে টিকে থাকতে পারবে।আল্লাহ যাকে কবুল করেন শুধু তারাই ইসলামী রাজনীতি করতে পারে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এক জুবাইরকে ঠেকানোর জন্য তারা কি না করেছে! সবাই একজোট হয়ে তার বিরুদ্ধে ফতোয়াবাজী করেছে। সেই ফতোয়া বই চাপিয়ে ৫/১০টাকা বিক্রি করেছে। জুবাইর হুজুরের পক্ষে যে কথা বলে তাকেও অপমান করেছে। ধৈর্যের পাহাড় জুবাইর হুজুরের ধৈর্য এবং চেষ্টার ফলে আজ ছাত্রসেনা বাংলার প্রতিটি জেলায় আওয়াজ তুলছে। যারা ফতোয়াবাজী করেছিল তারাই এখন বিলুপ্তির পথে। যারা আলী রাঃ কে মদ্য পানের তোহমত দিতে পারে তাদের ধ্বংস অনিবার্য।
প্রধান বক্তা তার বক্তব্যে বলেন, ৯৬ বছর পর যদি তুরস্কে ইসলামী, সুন্নী সুফিবাদী রাষ্ট্র কায়েম হতে পারে, বাংলাদেশে ১০০বছর হলেও একদিন সুন্নী, সুফিবাদী রাষ্ট্র কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ।
কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার আকরামুল হক ফরমানের নেতৃত্বে কুতুবুল ইসলাম মিতালীকে সভাপতি, মুনিরুল হোসাইনকে সাধারন সম্পাদক এবং হাফেজ মিসবাহ উদ্দিনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি শক্তিশালী কমিটি ঘোষনা করা হয়।