পাপিষ্ঠ ঘাতকগোষ্ঠী শহীদ লিয়াকতকে হত্যা করে তাঁর আদর্শকে কণ্ঠরোধ করতে পারেনি ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম জেলার স্মরণ সভায় অধ্যক্ষ এস. এম. ফরিদ
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম সংসদীয় আসন-৮ এর উপ-নির্বাচনে এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেছেন, শহীদ লিয়াকত আলী (রহ.) আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআ’তের আদর্শ বাস্তবায়নের নির্ভীক সৈনিক ছিলেন। আক্বিদার প্রশ্নে তিনি কখনো কারো সাথে আপোষ করেননি। তিনি নিজে ঈমান আকীদার সঠিক রূপরেখার ধারক ছিলেন এবং সমাজে তা প্রতিষ্ঠার জন্য আমৃত্যু নিয়োজিত ছিল। জামায়াত শিবিরের ঘাতকেরা শহীদ লিয়াকতকে হত্যা করে তাঁর আদর্শকে কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। শহীদের লিয়াকতের আদর্শকে অনুসরণ করে ইসলামী ছাত্রসেনার লাখো নেতাকর্মী এ দেশে কুরআন সুন্নাহর রাজ কায়েমের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
শহীদ লিয়াকত দিবস উপলক্ষে ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে আয়োজিত শহীদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত মন্তব্য করেন।
ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ছাত্রনেতা মুহাম্মদ কাউছারুল ইসলাম সোহেলের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জননেতা অধ্যক্ষ আল্লামা এস. এম. ফরিদ উদ্দিন। প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ ইমদাদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শহীদ লিয়াকতের আদর্শের কাছে পরাজিত দেশদ্রোহী শক্তি, জামায়াত-শিবির তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এর মাধ্যমে মূলত তাদের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। শহীদ লিয়াকত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআ’তের যে আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য আমৃত্যু নিয়োজিত ছিলেন সে আদর্শ লাখো সেনানীর মাঝে চির জাগরুক হয়ে আছে।
আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আল্লামা কাজী জসীম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, জননেতা মুহাম্মদ নুরুল আবসার, যুবনেতা মুহাম্মদ আলাউদ্দীন, খ. ম. জামাল উদ্দীন। আলোচনায় অংশ নেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ হাটহাজারী পূর্ব পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ রেজাউল করিম, ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মুহাম্মদ তৌহিদ মুরাদ সুমন, উত্তর জেলার সভাপতি মুহাম্মদ মিছবাহুল ইসলাম, মুহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম মুন্না, মুহাম্মদ ফারহানুল ইসলাম কাউছার, মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল নোমান, মুহাম্মদ তানভীর কুতুবী, মুহাম্মদ হাসান ইমাম, মুহাম্মদ হাসনাত বিন জিহাদি, মুহাম্মদ জামাল উদ্দীন, মুহাম্মদ আল আমিন, মুহাম্মদ কামরুল হাসান, মুহাম্মদ আবু বকর, মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম প্রমুখ