ইমাম আবু হানিফা রহঃ সম্পর্কে রসুলুল্লাহ সঃ এর ভবিষ্যৎবানী
ﻋﻦ ﺃﺑﻰ ﻫﺮﻳﺮﺓ ( ﺭﺽ ) ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﻟﻮ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﺜﺮﻳﺎﻟﺬﻫﺐ ﺑﻪ ﺭﺟﻞ ﻣﻦ
ﻓﺎﺭﺱ ﺃﻭ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﺃﺑﻨﺎﺀ ﻓﺎﺭﺱ ﺣﺘﻰ ﻳﺘﻨﺎﻭﻟﻪ .
.
হযরত আবু হুরাইরা রাঃ বর্ণনা করেন,
রসুলুল্লাহ সঃ ইরশাদ করেন, দ্বীন ও
ধর্মের আহরণ করা মানুষের পক্ষে যদি এত
কষ্টসাধ্য হয় যে, তা আকাশের দূর্গম
প্রান্ত বা সুরাইয়া তারকার নিকটে
লুকিয়ে থাকে।তবুও পারস্যের এক ব্যক্তি
সেখান থেকে জ্ঞান আহরণ করতে সক্ষম
হবে।
(বুখারি-২/৭২৭- মুসলিম – ২/৩১২।
.
মুসলীম শরীফে হযরত আবূ হুরায়রা (রা)
হতে বর্নিত , তিনি বলেন, আমরা একদিন
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের মজলিসে বসা ছিলাম । এমন
সময় সূরা জুম’আ নাযিল হয় । রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
তিলাওয়াত করে যখন এই আয়াতে
পৌঁছলেন –
.
ﻭَﺁﺧَﺮِﻳﻦَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻟَﻤَّﺎ ﻳَﻠْﺤَﻘُﻮﺍ ﺑِﻬِﻢْ
.
তখন সাহাবায় কেরাম জিজ্ঞেস করলেন,
ইয়া রাসূলুল্লাহ ! এ সকল লোক কারা
যাদের সম্পর্কে এ আয়াত নাযিল
হয়েছে…?
.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তখন ঐ মুহুর্তে তাঁদের এ
প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি ।
.
প্রশ্নকারী আরো একবার, দু’বার
মতান্তরে তিনবার পর্যন্ত জিজ্ঞেস
করলেন । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন হযরত
সালমান ফারসী (রা)-এর কাঁধে হাত
রেখে ইরশাদ করলেন-
.
4618 ﺑﺎﺏ ﻓﻀﻞ ﻓﺎﺭﺱ
.
2546 ﺣﺪﺛﻨﻲ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﺭﺍﻓﻊ ﻭﻋﺒﺪ ﺑﻦ ﺣﻤﻴﺪ ﻗﺎﻝ ﻋﺒﺪ
ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ ﻭﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﺭﺍﻓﻊ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺯﺍﻕ ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ ﻣﻌﻤﺮ ﻋﻦ
ﺟﻌﻔﺮ ﺍﻟﺠﺰﺭﻱ ﻋﻦ ﻳﺰﻳﺪ ﺑﻦ ﺍﻷﺻﻢ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ
ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻟﻮ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﺜﺮﻳﺎ
ﻟﺬﻫﺐ ﺑﻪ ﺭﺟﻞ ﻣﻦ ﻓﺎﺭﺱ ﺃﻭ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﺃﺑﻨﺎﺀ ﻓﺎﺭﺱ ﺣﺘﻰ
ﻳﺘﻨﺎﻭﻟﻪ
.
“দ্বীন ও ধর্মের জ্ঞান আহরণ করা
মানুষের পক্ষে যদি এতো কষ্টসাধ্য হয়ে
পড়ে যে, আকাশের দুর্গম প্রান্ত বা
সুরাইয়্যা তারকায় যেয়ে বিলুপ্ত হয়, তবু
পারস্যের এক ব্যক্তি সেখান থেকে দ্বীন
আহরণ করতে সক্ষম হবে।
.
(মুসলীম শরীফ,হাদীস নং২৫৪৬
.
সহীহ বুখারী এর বর্ণনা: হযরত আবু
হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“ আমরা রাসূল (সা.) এর দরবারে উপস্থিত
ছিলাম। এমন সময় সূরা জুমুআ নাযিল হয়।
রাসূল (সা.) তিলাওয়াত করে যখন এই
পর্যন্ত পৌঁছলেন, …… ’তাদের থেকে
পরবর্তীতে যখন কেউ মিলিত হবে’,
মজলিস থেকে কেউ প্রশ্ন করল, ইয়া
রাসূলাল্লাহ। এখন পর্যন্ত আমাদের সাথে
মিলিত হয়নি, পরে মিলিত হবে তারা
কারা…?
.
রাসূল (সা.) নিরব থাকলেন। প্রশ্নকারী
এভাবে আরো দুইবার অর্থাৎ তিনবার
প্রশ্ন করলেন। অতপর রাসূল (সা.)
সালমান ফারসী (রা) এর কাঁধে হাত
রেখে বললেন, যদি ঈমান সুরাইয়া
তারকাতেও থাকে তবুও এদের মধ্যে কিছু
ব্যক্তি ( পারস্যের বংশদ্ভূত ) তা অর্জন
করবে।“
.
বুখারীর শব্দগুলো হল……….
.
ﺑﺎﺏ ﻗﻮﻟﻪ ﻭﺁﺧﺮﻳﻦ ﻣﻨﻬﻢ ﻟﻤﺎ ﻳﻠﺤﻘﻮﺍ ﺑﻬﻢ ﻭﻗﺮ
ﺃ ﻋﻤﺮ ﻓﺎﻣﻀﻮﺍ ﺇﻟﻰ ﺫﻛﺮ ﺍﻟﻠﻪ
.
4615 ﺣﺪﺛﻨﻲ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻌﺰﻳﺰ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺎﻝ ﺣﺪﺛﻨﻲ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ
ﺑﻦ ﺑﻼﻝ ﻋﻦ ﺛﻮﺭ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺍﻟﻐﻴﺚ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻛﻨﺎ ﺟﻠﻮﺳﺎ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻓﺄﻧﺰﻟﺖ ﻋﻠﻴﻪ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ ﻭﺁﺧﺮﻳﻦ ﻣﻨﻬﻢ ﻟﻤﺎ ﻳﻠﺤﻘﻮﺍ ﺑﻬﻢ
ﻗﺎﻝ ﻗﻠﺖ ﻣﻦ ﻫﻢ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻠﻢ ﻳﺮﺍﺟﻌﻪ ﺣﺘﻰ ﺳﺄﻝ ﺛﻼﺛﺎ
ﻭﻓﻴﻨﺎ ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺍﻟﻔﺎﺭﺳﻲ ﻭﺿﻊ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﻳﺪﻩ ﻋﻠﻰ ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺛﻢ ﻗﺎﻝ ﻟﻮ ﻛﺎﻥ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﺜﺮﻳﺎ
ﻟﻨﺎﻟﻪ ﺭﺟﺎﻝ ﺃﻭ ﺭﺟﻞ ﻣﻦ ﻫﺆﻻﺀ
ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻮﻫﺎﺏ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻌﺰﻳﺰ ﺃﺧﺒﺮﻧﻲ
ﺛﻮﺭ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺍﻟﻐﻴﺚ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﻟﻨﺎﻟﻪ ﺭﺟﺎﻝ ﻣﻦ ﻫﺆﻻﺀ
.
[ বুখারীর ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাতহুল বারী ।
পৃষ্ঠা ৬/৩৭০, ৪৮৯৭। দারুল মায়ারিফ
থেকে প্রকাশিত, কায়রো।
যার তাহকীক করেছেন বিন বায (র:) ]
.
সহীহ মুসলিমের বর্ণনা:
.
ﻟﻮ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﺜﺮﻳﺎ ﻟﺬﻫﺐ ﺑﻪ ﺭﺟﻞ ﻣﻦ ﻓﺎﺭﺱ ﺃﻭ ﻗﺎﻝ
ﻣﻦ ﺃﺑﻨﺎﺀ ﻓﺎﺭﺱ ﺣﺘﻰ ﻳﺘﻨﺎﻭﻟﻪ
ﺣﺪﺛﻨﻲ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﺭﺍﻓﻊ ﻭﻋﺒﺪ ﺑﻦ ﺣﻤﻴﺪ ﻗﺎﻝ ﻋﺒﺪ ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ
ﻭﻗﺎﻝ ﺑﻦ ﺭﺍﻓﻊ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺯﺍﻕ ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ ﻣﻌﻤﺮ ﻋﻦ ﺟﻌﻔﺮ
ﺍﻟﺠﺰﺭﻱ ﻋﻦ ﻳﺰﻳﺪ ﺑﻦ ﺍﻷﺻﻢ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ
ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻟﻮ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﺜﺮﻳﺎ ﻟﺬﻫﺐ
ﺑﻪ ﺭﺟﻞ ﻣﻦ ﻓﺎﺭﺱ ﺃﻭ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﺃﺑﻨﺎﺀ ﻓﺎﺭﺱ ﺣﺘﻰ ﻳﺘﻨﺎﻭﻟﻪ
ﻛﻨﺎ ﺟﻠﻮﺳﺎ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇﺫﺍ ﻧﺰﻟﺖ ﻋﻠﻴﻪ
ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ ﻓﻠﻤﺎ ﻗﺮﺃ { ﻭﺁﺧﺮﻳﻦ ﻣﻨﻬﻢ ﻟﻤﺎ ﻳﻠﺤﻘﻮﺍ ﺑﻬﻢ
} ﻗﺎﻝ ﺭﺟﻞ ﻣﻦ ﻫﺆﻻﺀ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻠﻢ ﻳﺮﺍﺟﻌﻪ ﺍﻟﻨﺒﻲ
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺣﺘﻰ ﺳﺄﻟﻪ ﻣﺮﺓ ﺃﻭ ﻣﺮﺗﻴﻦ ﺃﻭ ﺛﻼﺛﺎ
ﻗﺎﻝ ﻭﻓﻴﻨﺎ ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺍﻟﻔﺎﺭﺳﻲ ﻗﺎﻝ ﻓﻮﺿﻊ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﺪﻩ ﻋﻠﻰ ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺛﻢ ﻗﺎﻝ ﻟﻮ ﻛﺎﻥ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ﻋﻨﺪ
ﺍﻟﺜﺮﻳﺎ ﻟﻨﺎﻟﻪ ﺭﺟﺎﻝ ﻣﻦ ﻫﺆﻻﺀ
ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻗﺘﻴﺒﺔ ﺑﻦ ﺳﻌﻴﺪ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻌﺰﻳﺰ ﻳﻌﻨﻰ ﺑﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﻋﻦ
ﺛﻮﺭ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺍﻟﻐﻴﺚ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ ﻛﻨﺎ ﺟﻠﻮﺳﺎ ﻋﻨﺪ
ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺇﺫﺍ ﻧﺰﻟﺖ ﻋﻠﻴﻪ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ
ﻓﻠﻤﺎ ﻗﺮﺃ ” ﻭﺁﺧﺮﻳﻦ ﻣﻨﻬﻢ ﻟﻤﺎ ﻳﻠﺤﻘﻮﺍ ﺑﻬﻢ ” ﻗﺎﻝ ﺭﺟﻞ ﻣﻦ
ﻫﺆﻻﺀ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻠﻢ ﻳﺮﺍﺟﻌﻪ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﺣﺘﻰ ﺳﺄﻟﻪ ﻣﺮﺓ ﺃﻭ ﻣﺮﺗﻴﻦ ﺃﻭ ﺛﻼﺛﺎ ﻗﺎﻝ ﻭﻓﻴﻨﺎ ﺳﻠﻤﺎﻥ
ﺍﻟﻔﺎﺭﺳﻲ ﻗﺎﻝ ﻓﻮﺿﻊ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﺪﻩ ﻋﻠﻰ
ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺛﻢ ﻗﺎﻝ ﻟﻮ ﻛﺎﻥ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﺜﺮﻳﺎ ﻟﻨﺎﻟﻪ ﺭﺟﺎﻝ ﻣﻦ
ﻫﺆﻻﺀ
.
একাধিক সনদে ইমাম মুসলিম এই
হাদিসটি উল্লেখ করেছেন।
( উপরে আপনারা দেখতে পারছেন। )
.
ইমাম মুসলিমের বর্ণনায়, “ ইলম যদি
সুরাইয়া তারকায় চলে যায়, তবুও পারস্য
হতে এক ব্যক্তি তা আহরণ করবে। “
.
অপর বর্ণনায় আছে ঈমান, আরেক বর্ণনায়
আছে দ্বীন যদি…..।
.
[কায়রো থেকে প্রকাশিত সহীহ মুসলিম।
তাহকীক: ফুয়াদ আব্দুল বাকী। ১৩৮৫
হিজরী প্রকাশিত। ৪/১৯৭২, হাদীস নং
২৫৪৬]
.
[ মাওয়ারিদুজ্জামান ইলা জাওয়েদি
ইবনে হিব্বান।
তাহকীক:::: মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক
হামজাহ। সালাফীদের প্রকাশনী আল
মাতবুয়াতুস সালাফীয়্যাহ, কায়রো থেকে
ছাপা। ১৩৮২ হিজরীর, পৃষ্ঠা ৫৪৭, হাদীস
নং ২৩১৯]
.
মুসনাদে আহমাদের বর্ণনা:
.
ﻟﻮ ﻛﺎﻥ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﺜﺮﻳﺎ ﻟﺬﻫﺐ ﺑﻪ ﺭﺟﻞ ﻣﻦ ﻓﺎﺭﺱ ﺃﻭ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ
ﺃﺑﻨﺎﺀ ﻓﺎﺭﺱ ﺣﺘﻰ ﻳﺘﻨﺎﻭﻟﻪ
.
“ইলম যদি সুরাইয়া তারকার…..তাহল
ে পারস্যের এক ব্যক্তি……”।
.
মুসনাদে আহমাদের ৫ জায়গায় এই
হাদিসটি একাধিক সনদে এসেছে।
.
[ মুসনাদে আহমাদ ২/২৯২, ৩০৯,
৩০৭৮, ৪৬৯, ৪২০]
.
হাদীসটির মান: মুসনাদে আহমাদে
বর্ণিত হাদীসটি সহীহ।
.
[দেখুন, মাজমাউজ জাওয়ায়িদ লিল
হাইসামি, পূর্ণ নাম নুরুদ্দীন আলী বিন
আবী বাকার আল হাইসামী, দারুল কুতুব
বৈরুত থেকে ছাপা, ১৪০৭ হিজরী, ১০/৬৪
পেজ]
.
তিরমিযী ও নাসায়ীতেও এই হাদীসটি
বর্ণিত আছে।
.
আলবানীর সহীহা ১১/৬২, ১০১৭ নং
হাদীস।
.
তিরমিযীতে ‘পারস্যের একজন’ এই শব্দ
বর্ণিত হয়েছে।
ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী ‘তারীখে
ইস্পাহান’ এ এই হাদীসের সমস্ত সনদ
একসাথে উল্লেখ করেছেন। ইমাম
সিরাজী ও তাবারানীও এই হাদীস
উল্লেখ করেছেন।
.
মুহাক্কিক উলামারা আবু হানিফা রহঃ
এর কথাই সবাই বলেছেন; তার সাথে অন্য
কার ও কারও কথা ও কেউ বলেছেন কিন্তু
ইমামে আযম রহ এর উপরেই সকলে জোর
দিয়েছেন যেহেতু উনি মুসলিম উম্মাহ-র
ফিক্বহ শাস্ত্রের জনক ; ইমাম শাফীঈ রহ
বলছেন
.
ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻋﻴﺎﻝ ﻋﻠﻰ ﺃﺑﻲ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻔﻘﻪ
.
তিনি আরও বর্ণনা করেন-
.
ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻋﻴﺎﻝ ﻋﻠﻰ ﺃﺑﻲ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻔﻘﻪ
.
ইবনে জুরাইজ রহ (যার সালাতকে
সর্বোত্তম বলা হয়েছে )বলছেন-
ﺣﺪﺛﻨﻲ ﺍﻟﺼﻮﺭﻱ ، ﻗﺎﻝ : ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ ﺍﻟﺨﺼﻴﺐ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ
ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﺑﻤﺼﺮ ، ﻗﺎﻝ : ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺃﺣﻤﺪ ﺑﻦ ﺟﻌﻔﺮ ﺑﻦ ﺣﻤﺪﺍﻥ
ﺍﻟﻄﺮﺳﻮﺳﻲ ، ﻗﺎﻝ : ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﺍﻟﺒﺰﺍﺯ ، ﻗﺎﻝ
: ﺳﻤﻌﺖ ﺟﻌﻔﺮ ﺑﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﻋﻴﺴﻰ ﺑﻦ ﻧﻮﺡ ، ﻳﻘﻮﻝ :
ﺳﻤﻌﺖ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﻋﻴﺴﻰ ﺍﺑﻦ ﺍﻟﻄﺒﺎﻉ ، ﻳﻘﻮﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﻭﺡ
ﺑﻦ ﻋﺒﺎﺩﺓ ، ﻳﻘﻮﻝ : ﻛﻨﺖ ﻋﻨﺪ ﺍﺑﻦ ﺟﺮﻳﺞ ﺳﻨﺔ ﺧﻤﺴﻴﻦ ،
ﻭﺃﺗﺎﻩ ﻣﻮﺕ ﺃﺑﻲ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﻓﺎﺳﺘﺮﺟﻊ ﻭﺗﻮﺟﻊ ، ﻭﻗﺎﻝ ﺃﻱ ﻋﻠﻢ
ﺫﻫﺐ ؟ ﻗﺎﻝ : ﻭﻣﺎﺕ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﺑﻦ ﺟﺮﻳﺞ .
______________. _____
রসুলুল্লাহ সঃ উক্ত হাদিসে পারস্য
ব্যক্তির অসাধারণ কৃতিত্বের সুসংবাদ ও
ভবিষ্যৎবাণী করেছেন, বিশেষজ্ঞ
উলামাদের মতে বিশেষ করে ইমাম সূয়ুতি
রহ. , ইবনে হাজার আসকালানী রহ. , ও
শাহ ওলীউল্লাহ মুহাদ্দেসে দেহলভি রহ.
প্রমুখদের গবেষনার আলোকে সেই
সুসংবাদ প্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন ইমামে
আজম ইমাম আবু হানিফা রহ. ।
কেননা পারস্য বা অনারবে তিনিই
ইতিহাসের একমাত্র প্রথিতযশা ও
ক্ষনজন্মা ব্যক্তিত্ব যিনি ইলম – প্রজ্ঞা
ও ইজতিহাদ তথা কুরয়ান – সুন্নাহর
গবেষনায় চরম উৎকর্ষতা অর্জন
করেছিলেন।
.
(তাবয়ীযুস দ সহিফা:২০-২১, আল-
খাইরাতুল হিসান:২৯, উকূদুয যমান:৪৫)
.
ইমাম আবু হানিফা রহঃ কুফার অধিবাসী
ছিলেন, আর কুফা, বসরা ইত্যাদি স্থান
পারস্যের কেন্দ্রবিন্দু।
.
ইমাম সূয়ুতি রহঃ লেখেন – ইমাম আবু
হানিফা রহঃ এর প্রতি রসুলুল্লাহ (সঃ)
এর সুসংবাদ এবং তার পরিপূর্ণ
শ্রেষ্ঠত্বের উপর উপরিউক্ত হাদিসটি
অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এবং বিশুদ্ধতম
মূলনীতি।
.
(তাবয়ীযুছ ছহীফা-২১)
(সংগৃহীত)