‘ছাত্রসেনা’ নামকরণের ইতিহাস এবং আল্লামা জাফর আহমদ ছিদ্দিকীর ঐতিহাসিক ভূমিকা
ছাত্রসেনার প্রতিষ্টালগ্নে শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামগণ সম্মিলিত ভাবে বৈঠকে বসেন আহলা দরবার শরীফের হযরত আবুল মোকাররম নুরুল ইসলাম (রঃ)’র স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রাম কলেজের প্যারেড ময়দানের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে দেব পাহাড় এলাকার খানকায়ে নূরীয়াতে। ঐ সভার আহ্বায়ক ছিলেন মোহাদ্দিছ আল্লামা শাহ আলাউদ্দিন। আর সভাপতিত্ব করেন আহলা দরবার শরীফের তৎকালীন সাজ্জাদানশীন পীরে তরিকত হযরত সেহাব উদ্দীন খালেদ আল কাদেরী সাহেব। উপস্থিত ছিলেন আল্লামা নুরুল ইসলাম হাশেমী, আল্লামা মুফতী মোজাফফর আহমদ, আল্লামা জাফর আহমদ ছিদ্দিকী, আল্লামা জালাল উদ্দীন আল কাদেরী, মুফতি ওবায়দুল হক নঈমী প্রমুখ প্রথিতযশা সুন্নী ওলামায়ে কেরামগণ। সেই বৈঠকে নামকরণের প্রসঙ্গে প্রায় সবাই মত দেন যেহেতু এই সংগঠনটি শুধু মাদ্রাসার গন্ডিতে আবদ্ধ না রেখে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে, সেহেতু বাংলায় নাম রাখা উচিত। আল্লামা জাফর আহমদ ছিদ্দিকী প্রস্তাব করেন “শিবির” মানে তাঁবু দখল করতে হলে “ছাত্রসেনা” প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর উপস্থিত সবাই সাথে সাথেই তাঁর প্রস্তাবে ঐকমত্য প্রকাশ করেন। এভাবেই সংগঠনের নাম ছাত্রসেনা’ হয়।
(ছাত্রসেনার ইতিহাসের পাতা থেকে…)
ছাত্রসেনার বিস্তারিত ইতিহাস জানতে পড়ুন অধ্যক্ষ ইব্রাহিম আক্তারী লিখিত ‘রাজনৈতিক ক্রমবিকাশের ধারায় সেনা-ফ্রন্টের ৩ যুগ’