খবরের বিস্তারিত...


বেয়াদবের পরিণতি ও তার আলামত

জুলাই 26, 2018 আক্বীদা

হযরত মাওলানা জালালউদ্দীন রূমী রহমতুল্লাহ আলাইহি তিনি ‘মসনবী শরীফ’ কিতাবে ফার্সিতে উল্লেখ করেন, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আদব তলব করছি। কারণ বেয়াদব মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত (করুণা) থেকে বঞ্চিত।
ইলমে তাছাউফের কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, “কোনো ব্যক্তি হোক সে আলিম অথবা জাহিল, খোদা না করুন সে যদি কোনো ওলীআল্লাহ উনার সাথে বেয়াদবী করে, তবে তার প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতের পরির্বতে পর্যায়ক্রমে লা’নত বর্ষিত হতে থাকে।” নাঊযুবিল্লাহ! আর এই লা’নত বুঝার জন্য কয়েকটি আলামত বর্ণনা করা হলো।


প্রথমত, সে ইবাদত-বন্দেগীতে অলস হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়ত, কোনো মেয়ে লোক অথবা আমরাদের (ক্বারীবুল বুলূগ তথা অল্প বয়স্ক বালকদের) প্রতি আসক্ত হয়ে যাবে।
তৃতীয়ত, ওলীআল্লাহগণ উনাদের সরাসরি ও প্রকাশ্যে বিরোধিতা করবে।
চতুর্থত, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান মুবারক-এর খিলাফ মন্তব্য করবে।

পঞ্চমত, খোদ মহান আল্লাহ পাক উনার শান মুবারক-এর খিলাফ আক্বীদা ও মত পোষণ করবে। আর বেয়াদবের শেষ পরিণতি হচ্ছে ঈমানহারা ও আমলহারা হয়ে অর্থাৎ বেঈমান হয়ে মৃত্যুবরণ করবে। নাঊযুবিল্লাহ!
উপরোক্ত আলোচনায় আদবের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব বুঝা যায়। তাই প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- ছহীহ আদব কায়দা শিক্ষা করা। বিশ্বের সকল মুসলমানকে প্রত্যেক বিষয়ে আদব রক্ষা করে চলতে হবে। আমার পক্ষ হতে মুসলমানদের রইলো প্রতি দাওয়াত যে, প্রতিটি বিষয়ে আদব ও শরাফত শিক্ষার জন্য ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত ও তালীমে আসুন। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন সকলকে সেই তাওফীক দান করেন। আমীন!

মহান আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত উনার আক্বিদা পোষন করা এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সঠিক বুজ দান করুন।

Comments

comments