খবরের বিস্তারিত...


হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহঃ) এর বড় ছাহেবজাদা খাজা মোহাম্মাদ সাদেক (রহঃ) এর জীবনীঃ

হযরত খাজা মোহাম্মাদ সাদেক (রহঃ) ১০০০ হিজরীতে দুনিয়ায় তাশরীফ আনেন।মাত্র আট বছর বয়সে পিতার সাথে খাজা বাকীবিল্লাহ (রহঃ) এর নিকট বায়াত গ্রহন করেন এবং তরীক্বতের সবক গ্রহন করেন।

এনার কাশফ নজর এত সঠিক ছিল যে, অধিকাংশ সময় খাজা বাকীবিল্লাহ (রহঃ) তাহাঁর বিভিন্ন হালত জিজ্ঞেস করতেন। অনেক সময় তাকে কবরস্তানে নিয়ে গিয়ে মৃত ব্যাক্তিদের হালত সমুহ জিজ্ঞেস করতেন। তিনিও যা কিছু অবগত হতেন, বিনা দিধায় বলে দিতেন।

একটি আশ্চর্য ঘটনাঃ
একবার মোজাদ্দেদ আলল ফেসানী (রহঃ) এর ভাই ব্যাবসার উদ্দেশ্য সফরে যাইতেছেন। রাস্তায় দাদা হযরত মাখদুম আব্দুল আহাদ (রহঃ) এর মাজারে মোরাকাবার পর খাজা মোহাম্মাদ সাদেক (রহঃ) বললেন, ” হযরত দাদা ছাহেব কেবলা চাচা ছাহেব কেবলা কে সফরে যাইতে নিষেধ করতেছেন।”
যেহেতু তিনি বালক তাই তার কাশফের ওপর আস্থা না করে চাচা সফরে চলে গেলেন। পরিণাম এই হয়েছিল, সমস্ত মালামাল বিনষ্ট হয়ে গেল এবং চাচাও ইন্তেকাল করলেন।

মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহঃ) এক মকতুব লিখেন,

মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে খাজা মোহাম্মাদ সাদেক (রহঃ) এমন এক মর্তোবায় পৌছেছিলেন, কদাচিৎ কেহ এইরুপ মাকামে পৌছে থাকেন।

মাত্র ২৪ বছর বয়সে ১০২৪ হিজরীর ৯ই রবিউল আউয়াল ইন্তেকাল করেন।

সন্তানের ইন্তেকালে মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহঃ) শোকাতুর হয়ে পড়েন।এক মকতুব এ লিখেন, প্রিয় ফরজন্দ মখদুমের জুদায়ী ( বিচ্ছিন্নতা) একটি আজিম মুছিবত। কেহ এইরকম মুছিবতে আক্রান্ত হয়েছে কিনা আমার জানা নাই।

হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহঃ) এর জানাজার নামাজ পড়ান ২য় সাহেবজাদা খাজা মোহাম্মাদ ছাইদ (রহঃ) এবং বড় ছাহেবজাদা খাজা মোহাম্মাদ সাদেক (রহঃ) এর মাজারের পাশেই মোজাদ্দেদ আলফেসানী (রহঃ) কে দাফন করা হয়।

তথ্যসুত্র:
হালাতে মাশায়েখ নখশবন্দিয়া মোজাদ্দেদিয়া ২য় খন্ড

 

Comments

comments