কুরআন শরীফের আয়াত পরিবর্তনে রিট এবং শ্ৰীলংকায় নারীদের পর্দা নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
কুরআন শরীফের আয়াত পরিবর্তনে রিট এবং শ্ৰীলংকায় নারীদের পর্দা নিষিদ্ধের প্রস্তাব ইসলাম বিদ্বেষী আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র অংশ।
ভারতে পবিত্র কুরআন শরীফের ২৬ টি আয়াতের উপর আপত্তি তুলে পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রীট দায়ের করা এবং শ্রীলঙ্কায় নিরাপত্তার অযুহাতে নারীদের বােরকার উপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদ। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে এবিএম আরাফাত মোল্লা ও শেখ ফরিদ মজুমদার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, মহাগ্রন্থ আল কুরআন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নির্ভুল গ্রন্থ। মহান রাব্বুল আলামীন নিজেই এ গ্রন্থকে নির্ভুল বলে ঘোষণা দিয়েছেন। যুগে যুগে নানা ধর্মের বহু মনীষী মহাগ্রন্থ আল কুরআনকে শ্রেষ্ঠ ও ঐশী গ্রন্থ বলে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছেন। বিশ্বব্যাপী সকল ধর্মের মানুষের নিকট গ্রহণযোগ্য এ গ্রন্থের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করা ধৃষ্টতার শামিল। এ ধরণের কর্মকাণ্ড বিশ্বব্যাপী শান্তি-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পর্দা ইসলামের অমোঘ বিধান। ইসলামের শাশ্বত এ বিধান সমাজে নানা পাপাচার, অনাচার বন্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। ইসলাম ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপর এ বিধান চাপিয়ে দেয়নি। বরং মুসলিম নারীদের উপর পর্দার বিধান আরোপ করে নারীদের নিরাপত্তা বিধান করেছে। এমতাবস্থায় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে পর্দার বিরোধিতা করা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, যুগে যুগে ইসলাম বিদ্বেষীরা নানাভাবে ইসলামকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা করে আসছে। মহাগ্রন্থ আল কুরআন এর আয়াতের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে রীট করা এবং নিরাপত্তার ঠুনকো অজুহাতে বোরকা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব চলমান আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। ওআইসি, জাতিসংঘসহ গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের উচিত নিরপেক্ষভাবে এ ধরণের হীন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ হাতে নিয়ে বিশ্বকে অশান্তি থেকে রক্ষা করা।
